বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষে আমরা যখন রাজপথে নামি তখনই এই সরকারের পুলিশ বাহিনী দ্বারা আমাদেরকে মামলা হামলা শিকার হতে হচ্ছে। জনগণের দাবি আদায় করতে গিয়ে আমাদেরকে বাঁধাগ্ৰস্থ করছে। রাজপথে কোন কর্মসূচি পালন করতে গেলে তারা আমাদেরকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা বলে দিতে চাই এই পোশাক এই পুলিশ বাহিনীর বেতন কিন্তু জনগণের পয়সা থেকে হয়। আওয়ামী লীগের দালালি করতে নয়। আওয়ামী লীগ সরকার আজকে ক্ষমতায় আছে কালকে নাও থাকতে পারে। কাজেই আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কিন্তু দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে আপনারা কিন্তু যাবেন না। তারা প্রত্যেকেই প্লেনের টিকেট কেটে রেখেছে খুব শিগগিরই তারা পালিয়ে যাবে। আর জনগণের সরকার এদেশে কায়েম হবে। আগামী দিনে জনগণের ভোটে যে সরকার নির্বাচিত হবে সে সরকার হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকার, সেই সরকার হবে জননেতা তারেক রহমানের সরকার।
বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ছাত্রদলনেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে এ কর্মসূচির পালন করা হয়।
বুধবার ( ২৪ আগস্ট ) বিকেল চারটায় চিটাগাং রোডস্থ ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়কে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মামুন মাহমুদ বলেন, আপনারা যে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন সেই নির্বাচন ছিল একটি অবৈধ অগণতান্ত্রিক নির্বাচন। সেই নির্বাচনে দিনের বেলায় কোন ভোট হয়নি রাতের বেলায় ভোট হয়েছে। সেই নির্বাচন এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। আন্দোলনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকে বাংলার জনগণ যেভাবে রাজপথে নেমেছে। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নেমেছে। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে। প্রত্যেকটা জিনিসের মূল্য কমিয়ে আনতেই আজকে রাজপথে নেমেছে। আপনারা বলেছেন দশ টাকা সে চাল খাওয়াবেন ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন কিন্তু আপনারা প্রত্যেকটি কথাই মিথ্যা বলেছেন। জনগণের সাথে আপনারা মিথ্যাচার করেছেন আপনারা মিথ্যাবাদী শাসক। আপনারা জনগণের শাসক নন। আপনারা হচ্ছেন অবৈধ শাসক আরে অবৈধ শাসনকে বাংলা জনগণ মেনে নেয়নি নিবেও না।
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে মামুন মাহমুদ বলেন, আমি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ভাইদেরকে বলতে চাই। যারা আমাদের বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন হামলা নির্যাতন চালাচ্ছেন। বাড়িঘরে লুটপাট করছেন। অবিলম্বে এই সকল কর্মকান্ড বন্ধ করুন। রূপগঞ্জে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর অনেক হামলা মামলা নির্যাতন করা হচ্ছে। মনে রাখবেন এই দিন দিন না আরো দিন আছে। প্রতিটি ঘটনার একটু একটি করে বিচারে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে করা হবে। হামলা মামলা নির্যাতন করে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রাখতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই সরকার কথায় কথায় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে দেয়। তেলের দাম বৃদ্ধি করার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম অটোমেটিক্যালি বেড়ে যায়। জনগণের আয় বাড়েনি কিন্তু দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি বহুগুণ বেড়েছে। গত দুই মাসের মধ্যে দফায় দফায় তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ অবৈধ সরকারকে বলে দিতে চাই আপনারা যেহেতু জনগণের মনের ভাষা বুঝেন না। আপনারা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করেন না। যেহেতু আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন নাই। এর জন্য জনগণের কাছে আপনাদের কোন জবাবদিহিতা নাই। আর জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলেই আপনারা জনগণের টাকা পকেট কেটে বিদেশে পাচার করছেন। বিদেশে আপনারা বাড়ি গাড়ি মালিক হচ্ছেন। কানাডায় বেগম পাড়া, লন্ডনে মন্ত্রী পাড়া, আমেরিকাতে বাড়ি বানিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। জনগণের পকেট কেটে যে টাকা নিয়ে আপনারা এ সকল করেছেন এর প্রত্যেকটির হিসাব আপনাদেরকে জনগণের কাছে দিতে হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল হাই রাজুর সভাপতিত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিরভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন সদস্য মোশাররফ হোসেন, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, নজরুল ইসলাম টিটু, মোশাররফ হোসেন, শাহ আলম হিরা, আশরাফুল আলম রিপন, বাছির উদ্দিন বাচ্চু, একরামুল কবির মামুন, এড. গুলজার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান, সহ-সভাপতি রাসেল মাহমুদ, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল নেতা সহিদুল ইসলামসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।