আন্তর্জাতিকডেস্ক,বিজয় বার্তা ২৪
জিকা ভাইরাসে মস্তিষ্কে ত্রুটি নিয়ে শিশু জন্মের হার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, মশাবাহিত এই রোগটির সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে এখনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
গত কয়েক মাসে শুধুমাত্র লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেই ছোট আকারের মস্তিষ্ক নিয়ে ৪ হাজারের বেশি শিশু জন্ম নিয়েছে।
জিকা ভাইরাসের প্রকোপ লাতিন আমেরিকা থেকে খুব দ্রুতই আরো বহু দূর পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রোগটি এতোটাই দ্রুত ছড়াচ্ছে যে দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায় এ বছর ৪০ লাখের মতো মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাই এই রোগটিকে সামপ্রতিক সময়ে ইবোলার মতো বড় মাত্রার প্রাদুর্ভাব হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান আনুষ্ঠানিকভাবে সারা বিশ্বব্যাপী এক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
মার্গারেট চ্যান বলছেন, পরিস্থিতি আরো সংকটময় হয়ে ওঠার আগেই সমন্বিত কর্ম প্রক্রিয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সমন্বিতভাবে আগেভাগে সতর্ক হলে ঝুঁকি কমানো সহজ হবে।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে এ সম্পর্কিত সাহায্য ও গবেষণাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। জিকা ভাইরাস থেকে সৃষ্ট মাইক্রোসেফালি রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র গত ৪ মাসে শুধু ব্রাজিলেই ৪ হাজারের বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে। যাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট আকারের।
প্রায় ৭০ বছর আগে রোগটির অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও এর প্রকোপ কখনোই এতোটা বেশি ছিলো না। আর তাই জিকার সাথে মাইক্রোসেফালির সম্পর্ক কতোটা সে নিয়ে তেমন কোনো গবেষণাও নেই।