বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, বছর দুয়েক আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত কথা বলেছিলাম। উনি বলেছেন, ‘তুমি কী চাও। অনেক রাজনীতিবিদ, অনেক কিছুই চায়’। আমি বলেছিলাম, ‘আমি কিছু চাই না।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও আরিফা জহুরার বিদায় ও নবগত ইউএনওর সংর্বধনা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে সদর উপজেলায় এ তথ্য দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি আরো বলেন, আমি জনগণের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড চাই, বঙ্গবন্ধুর নামে নারায়ণগঞ্জে ইউনিভার্সিটি চাই, পঞ্চবটির ফ্লাইওভার চাই, ডিএনডি প্রকল্প চাই, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের উন্নয়ন চাই, মেডিকেল কলেজ-ইউনিভার্সিটি চাই’। আলহামদুলিল্লাহ, আমার সব প্রকল্পের কাজই চলছে। শুধু একটি বাকি ছিল, সেটি হলো মেডিকেল কলেজ।
শামীম ওসমান আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে কিছু হলে অনুমতি নিতে হয়। শেখ রেহানা অনুমতি দেন না বলে সারা বাংলাদেশের কোথাও কিছু করা হয়নি। উনি হিমালয় পবর্তের মতোই শোক ও কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে বসে আছেন। কোনো কিছু করার অনুমতি দেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তুমি শেখ রেহেনার থেকে অনুমতি নিতে পাড়লে আমি করে দেব’। কিছুক্ষণ পূর্বে একটি মেসেজ আসছে, আলহামদুল্লিহা সেটিও হয়ে গেছে। খানপুরের ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ৫০০ শয্যা করে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তিত করা হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাম হবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার নামেই।
শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ প্রসঙ্গে আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের কিছু দৃশ্য আমি দেখেছি, অনেকের বাবার লাশ ঘরে পড়ে ছিল, ছেলে ধরে নাই। গিটারিস্ট একটা ছেলে সারারাত মরে বাইরে পড়েছিল, কেউ লাশটি উঠিয়ে নেয় নাই। গলাচিপায় লাশ হয়ে পড়ে আছে স্বামী, স্ত্রী বলছে-ভাই লাশটা নিয়ে যান, নিয়ে যান। সঙ্গে তোশকটাও নিয়ে যান। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিফাত ফেরদৌস, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজর আলী প্রমুখ।