বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
গুলশানে জঙ্গি হামলা এবং উত্তরায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের পর রাজধানীজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্পর্শকাতর স্থান, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, কূটনৈতিকপাড়াসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় থানা-পুলিশের সঙ্গে গোয়েন্দারা বিশেষ নজরদারি করছেন। যা ঈদের পরে আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তার ব্যাপারে এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পুরো রাজধানী নজরদারিতে আনা হয়েছে। যা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিশেষ করে গুলশান হামলার পর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়। একসঙ্গে ঈদে রাজধানীর প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। পাড়া-মহল্লা ও বাসাবাড়ি খালি থাকে। এসব বিষয় মাথায় রেখে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, মন্ত্রী-এমপিদের বাসা, সচিবালয়, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, গুলশানসহ অভিজাত এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পোশাক পরিহিত পুলিশ, র্যাবের সঙ্গে সাদাপোশাকের গোয়েন্দারা কাজ করছে। কোনো দুষ্কৃতকারী অপ্রীতিকর ঘটনার আশ্রয় নেয় কি না, তা বিশেষ নজরদারিতে রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
একাধিক থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সময় অধিকাংশ বাসা খালি রয়েছে। এ সুযোগে চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে প্রতিটি থানায় বিভিন্ন বিট করা হয়েছে। থানার একেকটি এলাকা নিয়ে একেকটি বিট করা হয়ছে। প্রতিটি বিটে একজন করে উপপরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে ৫ জনের পুলিশ দল টহল দিচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তায় সব মিলে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সাদাপোশাকে রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। পথে পথে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারো সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যাগ বা অন্য কিছু দেখলেই তাকে তল্লাশি করা হবে।