নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, শান্তির চরে ২০ লাখ মানুষের কমংসংস্থান হচ্ছে এটা জেনেই আমাকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটা পত্রিকায় দেখলাম আমি আমার ওয়াদা ভঙ্গ করেছি। সাংবাদিক ভাইয়েরা,এখনো সংসদ চলছে আমি জনগণের কাতারে আছি। আমার বিকেএমই চলছে আমি বিকেএমইএ’র চেয়ারে বসিনাই,আমার নারায়ণগঞ্জের চেম্বারের চেয়ারে আমি এখনো বসি নাই। আমি শুধু বলেছি সেলিম ওসমান যে জবান দিয়েছে নিজস্ব উদ্যোগে যে কাজগুলো করবে বলেছে মৃত্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত সেই কাজগুলে করে যাবে। মানুষের চাওয়া মানুষের মধ্যেই আল্লাহ অবস্থান করেন মানুষের জন্যই আমি কাজ করবো। আমি কোন মন্ত্রী বা আবার নির্বাচন করার জন্য কাজ করিনা। রোববার বিকেল ৫টায় বন্দরের সুরুজ্জামান টাওয়ারের তৃতীয় তলাস্থ রাত্রি কমিউনিটি সেন্টার মিলনয়তনে নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জন্য দোয়া ও মতবিনিময়পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেলিম ওসমান আরো বলেন,আমি কখনো কোন দিন আমার সাথে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি কোন প্রতিশোধ নেইনি। আমার প্রথম কাজটাই হচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তোলা। যেটা থেকে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী অনেক পিছিয়ে গেছি। আমার ৭টি স্কুল দোতলা,চারতলা একতলা পর্যন্ত হয়ে গেছে। একটা স্কুলেও কোন টেন্ডারবাজী হয়নাই। এই যে সহযোগিতা। এখানে একজন শুধুমাত্র প্রথমবারের চেয়ারম্যান আর বাদ বাকী অভিজ্ঞতসম্পন্ন চেয়ারম্যান। যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন,যারা আমাকে কমিটমেন্ট করেছেন চেয়ারম্যানের গর্ব নিয়ে ওনারা কাজ করবেনন। আমারই মতোন ওনারা জনগণের কাজ করবেন। ধামগড়ের চেয়ারম্যান মাসুম ও আমাকে ভীষন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছিল। আয়নাল চেয়ারম্যানের ছেলে কামাল কিন্তু মাসুম কোন দিন আমার কাছে কোন দিন বলে নাই ভাই আমি চেয়ারম্যান হতে চাই। আমি প্রকাশ্যে তারই এলাকায় জনগণে সামনে প্রশ্ন করেছিলাম মাসুম তুমি কি আমাকে কোনদিন বলেছ আমি চেয়ারম্যান হতে চাই। আমি ধামগড়কে নিয়ে একটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। কারণ আমি নিজে ব্যাক্তিগতভাবে মাসুমকে আমি ¯েœহ না আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কারণ ওই এলাকায় ওই স্কুলটা হওয়া সম্ভব ছিলনা। আমি জানি আমি যদি তাকে নমিনেশন নাও দিয়ে থাকি মাসুম হচ্ছেন আমার চেয়ারম্যান। কামালের বয়স আছে,ও অনেক কষ্ট পেয়েছে সিলেট চলে গেছে। চোখের পানি ফেলছে। আমি মনে করি ওই এলাকায় আমার ২টা চেয়ারম্যান কামাল এবং মাসুম। কারণ ওই স্কুলে যখন আমি লাস্ট চেকটা দিতে গিয়েছিলাম এরা দু’জন মিলে বিরাট একটা অনুষ্ঠান করেছিল। আগামী ৫ বছর মেম্বারদেরকে কাজে লাগাতে হবে। দরকার পড়লে আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে ইউনিয়নে বসবো। এলাকার মুরুববীদের সম্মান দিতে হবে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। অহংকার করা চলবেনা আমি চেয়ারম্যান হয়ে গেছি। এই অহংকার আমার সাথে চলবেনা। এলাকার প্রতিটি মানুষই হচ্ছে আমার মনিব আমি তাদের গোলাম। আমি একটু স্বস্থিতে কাজ করতে চাই। সরকারি নিয়মে কাজ করতে চাই,তার জন্য আমার চেয়ারম্যানের প্রয়োজন ছিল অন্য কোন দলের নেতার কোন চেয়ারম্যানের প্রয়োজন ছিলনা। যদি ওই নেতা চেয়ারম্যানই বানাতে পারেন তাহলে উনি কেন দাড়ালেননা। আমার কিছু কিছু নেতার কাছে আমি বলবো আপনাদের কাছে আমি বলতে বাধ্য আপনাদের কাছে। আমি চাইনাই ধানের শীষ হোক লাঙ্গল হোক নৌকা হোক। আমি আমার পছন্দের লোকগুলোকে নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম। যেই এলাকায় পয়সা দিয়ে নমিনেশন কেনা হকে সেই এলাকার উন্নয়ন কোন দিন হবেনা। আমি আমার ক্যান্ডিডেটদের বলেছি ১০ পয়সা যদি দিয়েছো তাহলে আমার সঙ্গে কাজ করা চিন্তা ভাবনা করবেনা। যদি কেউ পয়সা নিয়ে থাকেন আমার কাছে যদি নালিশ করে আপনি যতবড়ই নেতা হননা কেনো ওই পয়সা ফেরত দিতে হবে ইউনিয়নেই কার্যকর হবে ব্যবহা কর হবে। ভয় পাবেননা আমার চেয়ারম্যান সাহেবরাা,ভয় পাবেননা যারা নাকি ইলেকশানে পরাজিত হয়েছেন। ওই পয়সা আমাকে দান করেন আমরা একেকটা স্কুলের ফার্নিচার বানাবো। ফেরত দিয়ে দিবেন টাক যারা নাকি পয়সা দিয়ে নমিনেশন দিয়ে পাশ করাতে পারেননি ইলেকশানে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাংসদ সেলিম ওসমারে সহধর্মিণী বেগম নাসরিন ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ আবুল জাহের। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম সম্পাদক ও নাসি’র ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আফজাল হোসেন,মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব সানাউল্লাহ সানু,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যাণেল মেয়র শারমিন হাবিব বিন্নী,১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না,১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু,১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর,২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধাণ,সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর শাহী ইফাত জাহান মায়া,আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউর রহমান,গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী নওশাদ,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহমেদ,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ সালাম,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মদ,মুক্তিযুদ্্ধ প্রজন্ম কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ জুলহাস মিয়া,হাজী ইব্রাহিম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতি আলহাজ্ব মঞ্জুর হাসান মেম্বার,বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজিমউদ্দিন মাষ্টার,২১ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগে সহ-সভাপতি রাশিদা বেগম,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য মাসুদা মেম্বার,হাজী মকবুল হোসেন মেম্বার,জিয়াউদ্দিন মেম্বার,ফালান মেম্বার,ইউসূফ আলী মেম্বার,হাবিবুর রহমান মেম্বার,মনির মেম্বার,মোসলেহউদ্দিন মেম্বার,মুসাপুর ইউনিয়নের নারী সদস্য সখিনা মেম্বার,সদস্য সোহেল রানা মেম্বার,২১ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির নেতা আলহাজ্ব আব্দুর রশীদ কন্ট্রাক্টর,আজহারুল ইসলাম ভূইয়া জিন্নাহ,মোঃ শাহ আলম,জেলা তরুন পার্টির নেতা মাঈনুদ্দিন মানু,কাজী শাহিন,শরীফ শাহ.২১ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।