ঝিনাইদহ,বিজয় বার্তা ২৪
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তার আহম্মেদ মৃধা নির্বাচন বর্জনের ঘোষনার দিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি শৈলকুপা প্রেসক্লাবে জরুরী এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে শনিবার অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।
তবে সাংবাদিক সম্মেলনের সময় জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের সহায়তায় প্রতিদ্বন্দি বিদ্রাহী প্রার্থী হেলাল উদ্দীন বিশ্বাসের সমর্থকদের অব্যাহত সন্ত্রাস, ওসির পক্ষপাতিত্ব আচরণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের অসহযোগিতার কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে বাধ্য হলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, দলীয় নেতারা টাকার কাছে বিক্রি হওয়ার কারণে নেত্রী তাকে নৌকা প্রতিক দিলেও নির্বাচনী মাঠে কোন নেতা নেই। তার সমর্থকরা মাঠেই দাড়াতে পারছেন। পুলিশ ও বগিরাগত সন্ত্রসীরা নৌকার ভোটারদের মারধর, হত্যার হুমকী, ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, শৈলকুপা থানার ওসি মহিবুল ইসলাম বিদ্রাহী প্রার্থী হেলাল উদ্দীন বিশ্বাসের কাছ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন। আবাইপুর, হাটফাজিলপুর, মিনগ্রাম, কৃপালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে নৌকার সমর্থকদের শতাধীক বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো নৌকার সমর্থক ও ভোটারদের পুলিশ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে নির্বাচনের মাঠ গরম হওয়ার কারণে শৈলকুপা থানার ওসি মহিবুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের পরামর্শে ওসিকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। উল্লেখ্য শনিবারে অনুষ্ঠিত শৈলকুপার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন নিয়ে সাংঘাতপুর্ন হয়ে উঠেছে শৈলকুপা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শৈলকুপার মীর্জাপুর ইউনিয়নের মান্দারীপাড়া গ্রামে গুলি ও ককটেল হামলায় একজন আহত হয়েছেন।
মান্দারীপাড়া স্কুল মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনী মিটিং করার সময় নৌকার সমর্থকরা রাতে আধারে গুলি চালায়। এ ঘটনায় মান্দারীপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দিন খন্দকারের ছেলে নায়েব আলী গুলিবিদ্ধ হন। শৈলকুপার ত্রীবেনী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই অজয় কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি ঘটনাস্থল তেকে গুলির খোসা ও ককটেলের স্প্রিন্টার উদ্ধার করেছেন।
এদিকে শৈলকুপার কাচোরকোল ও দিগনগর ইউনিয়নে হামলা ও একাধিক নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়া হয়েছে নৌকায়। আওয়ামীলীগ ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি শৈলকুপার কাচেরকোল গ্রাম পরিদর্শন করেছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ঝিনাইদহ থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে তাদের সমর্থদের উপর নৌকার প্রার্থীরা হামলা ও অফিস ভাংচুর করছে।