বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সস্তাপুরের জুলহাস মিয়ার বিরুদ্ধে বোনের বিক্রিত সম্পত্তি পূনরায় দখলের অভিযোগ করেছেন তারই ভাগ্নী ভুক্তভোগী আফসুন বিবি ও সম্পত্তির রেজিস্ট্রি বায়নাকারী আনোয়ার হোসেন গং।
শনিবার দুপুরে সস্তাপুর এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে গনমাধ্যমের কাছে তারা এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, অভিযুক্ত জুলহাস মিয়া আইনী লড়াইয়ে ব্যার্থ হওয়ার পরও মিথ্যা অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে। জুলহাস মিয়া ফতুল্লার সস্তাপুর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত হাতেম আলীর ছেলে। ফতুল্লা মৌজার সস্তাপুর এলাকার ৯ শতাংশ সম্পত্তির মূল মালিক ছিলেন ফুলবানু। আর অভিযুক্ত জুলহাস মিয়া ফুলবানুর ভাই। ফুলবানু ওই সম্পত্তিটি বহু বছর আগেই বিক্রি করে দেন জাহিদ হোসেন ভূইয়া ও মেহেরুন নেছা দম্পতির কাছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, জমি বিক্রি করলেও বোনের কাছ থেকে বিক্রিত জমির অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল জুলহাস মিয়া। ফুল বানুর কাছ থেকে ওই ৯ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক থাকাবস্থায় জাহিদ হোসেন ভূইয়া ও মেহেরুন নেছা গং তা বিক্রির উদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রি বায়না করে দেন আনোয়ার ও আবু সাঈদ গংয়ের কাছে। কিন্তু এরপর ওই সম্পত্তি নিজের বলে দাবী করছে জুলহাস মিয়া। একপর্যায়ে ওই সম্পত্তি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলাও হয়। মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বেড়িয়ে আসে, জুলহাস কোন ভাবেই ওই সম্পত্তির মালিক নন। এছাড়াও জুলহাস নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেছিলেন, যা পুলিশী তদন্তে মিথ্যে বলেও প্রতীয়মান হয় বলে সংবাদ সম্মেলণে তারা এসব তথ্য জানান।
তারা আরো জানান, আইনী লড়াইয়ে পিছিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র থামেনি জুলহাসের। তাই সম্পত্তির বায়নাকারী আনোয়ারসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী মজিবর ও তার ভাতিজা হিমেলের প্রতি মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে জুলহাস। একই সাথে থানা পুলিশের নিরেপেক্ষ ভূমিকা থাকা সত্বেও তা নিয়ে অহেতুক সমালোচনায় মত্ত হন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবীদার চতুর এই ব্যক্তি। অথচ, পুলিশ প্রতিবেদন বলছে, জুলহাস মুক্তিযোদ্ধা নন। এই সংক্রান্ত কোন প্রমানাদিও নেই তার কাছে। উপরন্ত এলাকায় উদভট প্রকৃতির লোক হিসেবেই পরিচিত তিনি।
ফুলবানুর কন্যা আফসুন বিবি তার মামা জুলহাসের দাবি মিথ্যে বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমকে আফসুন বিবি আরো বলেন- “ওই সম্পত্তি আমার মা ফুলবানু বেগমের ছিলো। তিনি তা জাহিদ হোসেন ভূইয়া ও মেহেরুন নেছা গংয়ের কাছে রেজিস্ট্রি দলিল মূলে বিক্রি করেন। কিন্তু জমি বিক্রির টাকা আমার মামা জুলহাস আমার মায়ের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। এরপরও আমার মায়ের ওই বিক্রিত সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের পায়তারা করছে। জুলহাস মিয়া স্থানীয় ব্যবসায়ী মজিবর সাহেব, হিমেল সাহেব ও বায়নাকারী আনোয়ার গংয়ের নামে যেসব অভিযোগ করছে, তা সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। এই জমি জুলহাসের নয়।”
এদিকে সংবাদ সম্মেলণের সময় ওই সম্পত্তির যাবতীয় বৈধ কাগজ উপস্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন রেজিস্ট্রি বায়নাকারী আনোয়ার হোসেন গং। একই সাথে অভিযুক্ত জুলহাস মিয়ার মিউটিশনটি বানোয়াট ও জাল বলে উপস্থাপন করেন তিনি। আনোয়ার বলেন- আমি প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি বায়না করেও জুলহাসের দ্বারা হয়রানীর শিকার হচ্ছি। জুলহাস আমাকেসহ আন্যান্যদের নানা ধরনের ভয়ভীতি হুমকি দিচ্ছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যাচার করছে। আমরা থানা পুলিশের কাছ থেকে আইনী সহায়তা পেলেও জুলহাস আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলণে ফুলবানুর মেয়ে ও জুলহাসের ভাগ্নী আফসুন বিবি, সম্পত্তির রেজিস্ট্রি বায়নাকারী আনোয়ার হোসেন গং ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।