বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে ফেরদৌস (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার(২৫মে) রাত ১ টায় ফতুল্লা থানার মুসলিম নগর এলাকায়।এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা পুলিশ রাতেই ঘাতক রাকিব (২৯)কে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করেছে।
নিহত ফেরদৌস পটুয়াখালী জেলার শুভডুগী গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে।অপরদিকে ঘাতক রাকিব শরিয়তপুর জেলার পোপনচর গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে।তারা উভয়েই মুসলিমনগর এলাকায় একই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, রাত ১টার দিকে বাড়ীটির ভিতর থেকে হঠাৎ চিৎকার শুনতে পান। দৌড়ে গিয়ে তারা দেখতে পান বাড়ীর ভিতরের গোসলখানায় রাকিব রক্তমাখা ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে আর নিচে পড়ে আছে ফেরদৌস।এ সময় তারা ডাক-চিৎকার করলে ঘাতক রাকিব ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পঞ্চবটী বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘাতক কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী সাদিয়া জানান, ১ মাস আগে ফেরদৌসের সাথে তার বিয়ে হয়। তার স্বামীর সাথে রাকিবের বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু কী নিয়ে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে না তিনি জানেন না বলে জানান।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মামুন বলেন, নিহতের পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। নিহতের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।তিনি আরো জানান,
পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক রাকিবকে আহত অবস্থায় ফতুল্লার পঞ্চবটি থেকে গ্রেফতার করা হয়।তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো।ভোরের দিকে তাকে হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, হত্যাকারী এবং হত্যাকান্ডের শিকার যুবক একটা সময় রুমমেট ছিলো।গত এক মাস পূর্বে নিহত ফেরদৌস বিয়ে করে।নিহত ফেরদৌস এবং ঘাতকের সাথে পূর্ব থেকে কোনো বিষয়ে শত্রুতা ছিলো। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই হয়তোবা হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।