নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, এখানকার মেয়র (নাসিক মেয়র) আমাকে কাজ করতে দেয়না। নিজেও করে না। সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ সবচেয়ে বেশী ট্যক্স (সিটি কর) দেয়। শুধু আদমজী ইপিজেড থেকে যে পরিমণা ট্যাক্স (সিটি কর) পায়, পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে এত ট্যক্স পায় না। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ বঞ্চিত। এখন ইলেকশান সামনে আসছে, তাই সবজায়গায় বেশী জোড়াতালী লাগাইতাছে। এখন ভিত্তি প্রস্তর লাগায়। কাজ দেখাইতাছে শেষ মূহুর্তে। এই নাটক পাবলিক বুঝে। শনিবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে মরহুম আলী হোসেন স্মৃতি ফ্রীজকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-এর পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি। নাসিক কাউন্সিলর রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য বদিউজ্জামান বদু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মেম্বার,আলহাজ্ব মজিবুর রহমান রহমান প্রধান, রেজাউল করিম কুদরত,সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মোঃ সেলিম প্রধান, আব্দুল কাইয়ুম, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সালাউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম ও রাসেল শেখ প্রমুখ। এসময় শামীম ওসমান আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জর সবগুলো কন্ট্রাক্টারী কাজ দুইজন মানুষ ছাড়া কেউ করতে পারনা। একটা হল সুফিয়ান, আরেকটা হল জাকির এন্টারপ্রাইজ। শত শত কোটি টাকার কাজ করছে ওরা। মিনিমাম ৪’শ কোটি টাকার কাজ। নারায়ণগেেঞ্জর সাংবাদিকদের দোকান দেয়া হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনদেরকে দেয়া হয়েছে। এ রকম ৩’শ দোকানের নাম আমি সংসদে উত্থাপন করছি। দুদক এগুলো তদন্ত করছে। শামীম ওসমান বলেন, এ এলাকায় কাদামাটি ছিল। তখন (বিগত সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে) লিংকরোড করি। ঐ সময় টেলিফোন ছিল না। টেলিফোন আনলাম। স্কুল ঠিক করলাম। মসজিদ-মাদ্রাসা ঠিক করলাম। এ এলাকাটা সিটি কর্পোরেশনের আন্ডারে। আমি যা কাজ করতাছি এটা বাড়তি কাজ করতেছি। আমার কাজ করার এখানে কোন সুযোগ নাই। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিজানুর রহমান, আরাউদ্দিন আহামেদ।