নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এমপি শামীম ওসমানের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ছাড়া আলীগঞ্জ মাঠে কোন স্থাপনা হতে দেবে না জনগন। সব প্রকল্পের আগে আলীগঞ্জ মাঠের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্যে যদি রক্ত দিতে হয় তার জন্যেও প্রস্তুত আছে আলীগঞ্জবাসী। জেল-জুলুম আর নির্যাতনের হুমকীকে ভয় পায় না কাউসার আহমেদ পলাশ। আলীগঞ্জ মাঠ নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেই এবারের টুর্নামেন্টের নাম দেয়া হয়েছে প্রতিবাদ ফুটবল টুর্নামেন্ট। আজ থেকে ঘোষনা করা হলো আলীগঞ্জ মাঠ হবে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম।
২৮মে শনিবার বিকালে আলীগঞ্জ মাঠে প্রতিবাদ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলীগঞ্জ ক্লাবের সবাপতি জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় শ্রমিক উন্নয়ন কল্যান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ এ হুশিয়ারী দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আলীগঞ্জ ক্লাবের উপদেষ্টা হাজী সানাউল্লাহ,হাজী আঃ হান্নান,আলীগঞ্জ জামে মসজিদের সেক্রেটারী হাজী মনিরউদ্দিন,কুতুবপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ইউনিটের সভাপতি জহিরউদ্দিন জজ,শিল্পপতি শাহজাহান মিয়া,নারাযনগঞ্জ জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রজেন্দ্রনাথ সরকার,স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম,আলীগঞ্জ ক্লাবের সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম মেম্বার,অর্থ সম্পাদক হাজী মোঃ আরিফুল ইসলাম,টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক আনোয়ার হোসেনসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
কাউসার আহমেদ পলাশ আরো বলেন,আলীগঞ্জ মাঠে ১৯৮৫ সাল থেকে খেলা চলে আসছে। এ মাঠে বিশ্বখ্যাত রানাতুঙ্গা, ফার্নান্ডোসহ বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড়রা খেলেছেন। ১৯৯৭ সনের পর খেলাধূলায় বাটা পড়লে এ মাঠে মাদকের আসর থেকে শুরু করে অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া গড়ে উঠেছিল। আমরা আবারো সে সকল প্রতিবন্ধকতা হটিয়ে দিয়ে আলীগঞ্জ মাঠকে মাঠে রুপান্তরিত করেছি। এ মাঠে খেলাধূলায় সন্তুষ্ট হয়ে এমপি শামীম ওসমান,জেলা প্রশাসক এবং জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনের সংগঠকেরা মাঠকে স্টেডিয়ামে রুপান্তরের ঘোষনা দিয়েছেন। অথচ আজ সেই স্টেডিয়ামকে দুরে ঠেলে দিয়ে একটি কুচক্রিমহল এখানে বড় বড় অট্টালিকা গড়ে তুলে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের চেস্টা চালাচ্ছেন। এখান থেকে পাথর ব্যবসা আর ইট-বালু ব্যবসা দিয়ে মাসে ২০ থেকে ৪০ লাখ টাকা লুটে নেয়া হচ্ছে এমন মিথ্যা তথ্য দিযে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। অথচ মাঠের কিছু দুরে গনপূর্ত বিভাগ থেকে লীজ নিয়ে পাথরের ব্যবসা করছে মান্নান এন্ড সন্স আর নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএ থেকে লীজ নিয়ে কয়লার ব্যবসা চালাচ্ছে হাজী তুহিন ও মনিরগং। যা খেলার মাঠের সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই।
পলাশ আরো বলেন,এ মাঠ রক্ষার জন্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে হাজার হাজার মানুষের গনস্বাক্ষর দিয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। অথচ সেই স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছেনি। এ মাঠের মালিকানা যদি থেকে তাকে তার মালিক হতে পারে জেরা প্রশাসন। এ জমি কোনদিন গনপূর্ত বিভাগের ছিল না। এখানে কয়লা ডিপো করার জন্যে একোয়ার করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কয়লা অধিদপ্তর বিলুপ্ত হয়ে গেলে যার যার জমি ফেরত দেয়া হয়। এর মধ্যে মেঘনা পেট্টোলিয়ামসহ ব্যাক্তি মালিকানাধীন কিছু জমি ফেরত দেয়া হয়েছে। আর এ জমি নিয়েও বিভিন্ন ব্যাক্তির মামলা চলছে। তা গোপন রেখেই এখানে ভবন তুলে মাঠ ধ্বংসের জন্যে একনেক বৈঠকে প্রকল্প পেশ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রীট হয়েছে। আদালতেই জবাব দিতে হবে। সেই জবাবদানের পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলবে। এর বাইরে কোন সন্ত্রাসী জোরপূর্বক মাঠ দখল করতে এলে আমি পলাশসহ এলাকার ক্রীড়ামোদি জনগন উচিত জবাব দেবে। আমাকে হুমকী-দামকী দিয়ে কোন ফায়দা হবে না। আমি পলাশ বেঁেচ থাকতে আলীগঞ্জ মাঠ কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না। আজ থেকে এই মাঠ হবে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম।
্উল্লেখ্য,মাঠ দখলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মাসব্যাপি প্রতিবাদ ফুটবর টুর্নামেন্ট শুরু করেছে আলীগঞ্জ ক্লাব। এতে বিভিন্ন এলাকার ১৫টি ক্লাব অংশ নিচ্ছে। যার মধ্যে বিদেশী খেলোয়াড়ও খেলছে। উদ্বোধনী খেলায় নয়ামাটি স্পোর্টিং ক্লাব ও নারায়নগঞ্জ ফুটবল একাডেমী অংশ নেয়।