বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে আজ সোমবার ভোর থেকে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জয়নাল আবেদিনের বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে কাউন্টার এন্টিটেরোরিজমের সদস্যরা। সেখান থেকে জঙ্গি সন্দেহে তাঁর দুই ছেলে ও এক পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোর থেকে উপজেলার ফতুল্লার শিয়াচর এলাকায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেন সোয়াটের সদস্যরা। সকালেই বোমা নিষক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে স্বয়ংক্রিয় রোবট ব্যবহার করা হয়েছে। দুপুরে সর্বমোট চারটি বোমা বিস্ফোরন করে নিস্ক্রিয় করেছে বোমা ডিজপোজাল ইউনিট।
জঙ্গি আস্তানা থেকে আটককৃতরা হলেন আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ফরিদউদ্দিন রুমি (২৭), যন্ত্রকৌশলী জামালউদ্দিন রফিক (২৩) ও ফরিদউদ্দিনের স্ত্রী অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা জান্নাতুল ফোয়ারা ওরফে অনু (২৭)। জামালউদ্দিন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) থেকে পড়ালেখা শেষ করে এখন বাড়িতে থাকেন।
নারায়ণগঞ্জ থেকেই পুলিশের উপর জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম৷ সোমবার দুপুর ৩টায় ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন৷
মনিরুল ইসলাম আরো জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ডেটোনেটরসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার খামারবাড়ি, মালিবাগ, সায়েন্স ল্যাবে পুলিশের ওপর যে বোমা হামলা হয়েছিল, তার সঙ্গে এই জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের মিল রয়েছে। সেগুলো ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, রবিবার রাতে ঢাকা থেকে মিজানুর রহমান ওরফে রফিককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে তার ভাই ফরিদ উদ্দিন রুমিকে আটক করা হয়। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরিদের স্ত্রী জান্নাতুল ফোয়ারা অনুকে আটক করা হয়। আটক ফরিদ ও রফিক নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানান তিনি। মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, অন্যান্য জঙ্গি আস্তানায় যে ধরনের ল্যাব বা কারখানার সন্ধান মিলেছে সেগুলোর চেয়ে এটি ব্যতিক্রম। এখানে ডেটোনেটরসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। দুই ভাই এই আস্তানাটিতে বেশ কিছুদিন ধরে অবস্থান নিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করছিল।