বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা, উদ্দ্যেশ প্রনোদীত ও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর বাবু । কাউন্সিলর বাবুর অফিসের সামনে থেকে ইয়াবাসহ কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি জানালেন ঘটনার এসআই শাহাদাৎ।
গত বুধবারের রাতে একটি অনলাইন এবং বৃহস্পতিবারের সকালে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় “কাউন্সিলরের সহযোগী ২ জন ইয়াবাসহ গ্রেফতার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত সংবাদে আরো বলা হয়েছে কাউন্সিলরের অফিসের সামনে থেকে তাদের ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ও এসআই শাহাদাৎ।
এ বিষয়ে ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু জানায়, আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমার সাথে অনেকেই ছবি তুলতে পারে। মিছিল মিটিংয়ে যেতে পারে। এদের মধ্যে অনেকেই ভালো আবার অনেকেই খারাপ থাকতে পারে। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন একজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কি কারণে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে পুলিশ আমাকে জানায় যে তাদের সাথে মাদক পাওয়া গেছে। পরে আমি পুলিশকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলি এবং সেখান থেকে ফিরে আসি। এটাই কি আমার অপরাধ। বারবার আমাকে কেন মিথ্যা কিছুর সাথে জড়ানো হবে। আমি সব সময় মানুষের সেবায় কাজ করে আসছি। নিজের অর্থায়নে ১৭ নং ওয়ার্ড বাসীর জন্য কাজ করছি এবং এখন পর্যন্ত করে চলেছি। তাহলে এটাই আমার যদি আমার অপরাধ হয়। তাহলে আজীবন মানুষের সেবায় পাশে থাকতে চাই। আমার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম আমার অফিসের সামনে থেকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আর আমিও কখনো কোন প্রকার মাদকের সাথে জড়িত নই। পারলে প্রমান করুন না হলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে সদর থানার এসআই শাহাদাৎ জানান. ১০০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার কৃত সজীব ও পারভেজ নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর অফিসের সামনে থেকে না। তাদের জল্লারপাড়া মসজিদ গলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার প্রমান হিসেবে সেখানে শত শত লোক ছিল। পুরো ঘটনাই সবার সামনেই ঘটেছে। আর কাউন্সিলর বাবুর কার্যালয়ের সামনে তো সিসি ক্যামেররাই আছে তা দেখলেই তো প্রমান পাওয়া যাবে।