বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
একদিকে আগস্ট মাস আরেকদিকে জন্মাষ্টমী। এই আগস্ট মাসে জাতির জনককে হত্যা করা হয়। কারা হত্যা করেছিলেন জাতির জনককে? যারা উগ্রবাদী, যারা সম্প্রীতি পচ্ছন্দ করে না এবং যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা হত্যা করেছে জাতির জনককে। আজকে তারাই জামায়াত-শিবিরের নামে দেশকে কলুষিত করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গী কার্যক্রম চালাচ্ছে। আজকে সেই সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়াতে হবে। সোচ্চার হতে হবে সেই সব অপশক্তির বিরুদ্ধে যারা ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করে বেড়ায়। এইসব অশুরদের দমন করতে হবে মানবরূপি দেবতা সেজে।কে হিন্দু কে মুসলমান সবকিছুকে উর্ধ্বে রেখে স্ব স্ব জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। ভালো মানুষকে অনুসরণ করতে হবে,খারাপ মানুষকে প্রতিহত করতে হবে। তাহলেই সমাজ সুন্দর হবে, দেশ সুন্দর হবে।
শনিবার(২৪ আগস্ট) সন্ধায় দেওভোগস্থ শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গণে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আর্ন্তজাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ(ইসকন) কতৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ হারুন অর রশীদ একথা বলেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ সুন্দর থাকলে সুখে থাকলে আমরা ভালো থাকবো। আর আপনারা যদি অসহায় থাকেন, আপনারা যদি বিচার দিতে না পারেন কিংবা বড় ভাইদের ভয়ে কারো কাছে যেতে না পারেন তাহলে আপনাদের চাহিদা মত আমরা কাজ করে যেতে পারবো না। আপনার ভাববেন পুলিশ আছে , পুলিশ চলে যাবে তারপর তো আমাদের উপর নির্যাতন শুরু হবে। সেই দিন আর নেই , আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন এখন পুলিশ ঘুরে দাড়িয়েছে। আজকে প্রত্যেকটি পুলিশ কাজ করছে সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য। যে আমি চলে গেলাম বলে আপনাকে অত্যাচার করবে সেই সুযোগ কেউ পাবে না। আপনার যদি আপনার ঘর-বাড়ি হারিয়ে থাকেন, আপনার উপর কেউ যদি আঘাত করে থাকে আপনারা নির্ভয়ে পুলিশের কাছে যাবেন। যদি পুলিশ সেই কাজটি করতে না পারে তাহলে সরাসরি এসপি’র কাছে চলে আসবেন। আপানাদের সবাইকে নিয়ে আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন আমাদের সহযোগিতা করেন তাহলে সকল সম্প্রদায়ের, সকল ধর্মের মানুষদের সহযোগিতা করা আমাদের পক্ষে আরো সহজ হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীপদ হংসকৃষ্ণ দাস ব্রক্ষ্মাচারীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ সাহা, জেল সুপার সুভাষ ঘোষ, নাসিক ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন দাস, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা প্রমুখ।