টাঙ্গাইল,বিজয় বার্তা ২৪
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ অভিযুক্ত ১০ আসামির সব অস্থাবর মালামাল ক্রোক করেছে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর থেকে পলাতক আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালামাল ক্রোক করা হয়। তবে অভিযানে কোনো মূল্যবান মালামাল জব্দ করতে পারেনি পুলিশ।
টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, মালামাল ক্রোকের বিষয়ে আদালতের আদেশের খবর পাওয়ার পরপরই আসামিরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র বাসা থেকে সরিয়ে ফেলেছেন।
আজ ঘাটাইল আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ অভিযুক্ত অপর ৬ আসামি সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁন, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমানের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
এসময় মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাসার ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে একটি ফ্রিজ, বেশকিছু জামা-কাপড় ক্রোক করা হয়।
এর আগে ১৬ মে বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ফারুক হত্যা মামলার পলাতক ১০ আসামির মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানা ও তার ছোট ভাই বাপ্পা তাদের কলেজপাড়া বাসভবনের কাছে গে¬াবাল ট্রেনিং সেন্টারে সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনিছুল ইসলামের মাধ্যমে ফারুক আহমদকে ডেকে আনেন। সেখানে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাপ্পা। কিন্তু তিনি রাজি হননি। একপর্যায়ে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান।
শৌচাগার থেকে ফেরার পথে সাংসদের অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। এরপর সাংসদ আমানুরের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবীর তার মৃতদেহ তার বাসার সামনে ফেলে আসেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।