নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে চারটি কারণ দেখিয়ে বরখাস্তের চিঠি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল বিদ্যালয় কমিটি।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বরখাস্তের খবর প্রকাশ করা হলেও চিঠিটিতে সভাপতি স্বাক্ষর করেন ১৬ মে। আর চিঠিটি প্রস্তুত করার তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৩ মে। অর্থাৎ ঘটনার দিনই প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের চিঠি তৈরি করে রাখা হয়েছিল। এলাকাবাসী যাকে মনে করছেন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংসদ সেলিম ওসমান গং এর ষড়যন্ত্র হিসেবে।
সভাপতির সই করা বরখাস্তের চিঠিতে চারটি কারণ দেখানো হয়েছে। কারণগুলো হলো- ১. ছাত্রদের ওপর শারীরিক নির্যাতন ২. বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ গ্রহণ ৩. ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য ও ৪. ছুটি না নিয়ে বিদ্যালয় থেকে অনুপস্থিত থাকা এবং সময়মতো বিদ্যালয়ে না আসা।
যদিও যে ছাত্রের বরাত দিয়ে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলে শিক্ষকে লাঞ্ছিত করা হয় সেই ছাত্র রিফাতই বলছে ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষক শ্যামল কান্তি কোন কটু মন্তব্য করেননি।
গত ১৩ মে বিকেলে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ রটিয়ে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সবার সামনে কান ধরে উঠবস করিয়ে ক্ষমা চাওয়ান স্থানীয় সংসদ ও জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম ওসমান। সেলিম ওসমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শ্যামল কান্তি ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় এলাকাবাসীর রোষ থেকে তাকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ভিডিওতে দেখা যায় সাংসদ সেলিম ওসমান নিজেই শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করে শাস্তি দিচ্ছিলেন।
এদিকে এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী সাংসদ সেলিম ওসমানের শাস্তি দাবি করেছে তারা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাটি দণ্ডবিধিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সংগৃহিত