নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত সস্ত্রাসী দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারি ক্যাডার একাধিক অস্ত্র মামলার আসামী শাহাজাহান সরকার সাজু পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আরো বেপারোয়া হয়ে উঠেছে। সাজু বাহিনীর অত্যাচারের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আরামবাগ এলাকাবাসী। আতংক ছড়াতে প্রতিদিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরন ও ফাকা গুলি বর্ষন করছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা বাদি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকায় ৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছে আতংঙ্কে। গত ৫ দিন ধরে ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো কম। সাজু বাহিনীর বোমা বিস্ফোরন ও গুলি বর্ষনের আতংঙ্কে অভিবাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে যেতে দিচ্ছনা। তবে পুলিশের দাবি সাজু বাহিনীর প্রধান সাজু পুলিশের নজরে রয়েছে। সে কোন সময় তাকে ও বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে।
আলামবাগ এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানায়, মৃত তমু মন্সির ছেলে সাজু অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী। সে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নারায়ণঞ্জ ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের ছেলে আলহাজ্ব আজমীরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে এরাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। গড়ে তুলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। পরিচিত লাভ করে সাজু বাহিনী হিসাবে। সাজু বাহিনী দখল করে নেয় বিভিন্ন মিল কারখানা। এ বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী সাজু ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হামলা, জবর-দখল, মাদক ব্যবসা করিয়ে থাকে। তাছাড়া রাস্তার পাশে দোকান ঘর, নিজের জায়গায় বাউন্ডারী দেওয়াল ও ঘর নির্মাণ করতে গেলেও এ বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। এ নিয়ে কয়েকবার বাধা দিলে এলাকাবাসীর উপর হামলা ও গুলি করে সাজু বাহিনী। তার ভরে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না। সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাজু বাহিনীর ৬ সদস্যকে দেশী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করায় আলাউদ্দিন বাহিনীর সহযোগী এক সময় সাজুর ক্যাডার মোস্তফাকে গুলি করে। পরে পুলিশ গুলিবৃদ্ধ মোস্তফাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গুলিবৃদ্ধ মোস্তফা বাদি হয়ে বুধবার রাতে সাজু ,তার সহযোগী অস্ত্রধারি ক্যাডার পাপ্পু ওরফে ইয়াবা পাপ্পু ও সন্ত্রাসী টিটুসহ আরো ৭/৮ জনের বিরোদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।যার নং ২১ তারিখ ১৮-০৫-১৬।
তারা আরো বলেন, মঙ্গলবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় আরামবাগ, জেএমসি, আটপাড়া, চিত্তরঞ্জন মিলস প্রাঙ্গনে বোম বিস্ফোরন ঘটিয়ে আতংক ছড়ায়। পরে এলাকাবসী একত্রিত হয়ে সাজু বাহিনীর প্রধান সাজু ও তার সহযোগীদের ধাওয়া দিলে সে পালিয়ে যায়। আজ বুধবার আবোর সাজু গোপনে বিভিন্ন গামের্ন্টস কারখানায় দিয়ে চাঁদা বাদি করে। চাঁদা না দিলে গামের্ন্টসে কর্মরত কর্মীদের ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। এমন খবর পেয়ে ক্ষমতাশীন দলের কর্মী ও সাধারন এলাকাবসী চিত্তরঞ্জন আটপাড়া এলাকায় সাজুর আস্তানায় হানা দিলে সাজু পালিয়ে যায়। তবে এ মহল¬া বাসির মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে। তাই সাজু বাহিনীর প্রধান সাজুকে গ্রেপ্তার বা ক্রসফায়ারের দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব ১১ অধিনায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।