নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে হাতপাঁ বেধে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষিতার বড় বোন কাকলি বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০৩ (সং/০৩) এর ৯ (১১)/৩০ দন্ড বিধিতে একটি ধর্ষনের মামলা করেছে। তবে মামলায় আলাউদ্দিনকে ধর্ষক হিসেবে অভিযুক্ত না করে ধর্ষক টিটুকে ধর্ষনের কাজের সহযোগীতাকারী হিসেবে আসামী করা হয়েছে। মামলায় টিটুকে ধর্ষক ও সহযোগী হিসেবে আলাউদ্দিন ও টিটুর স্ত্রী মুন্নিকেও আসামী করা হয়েছে। মামলায় আলাউদ্দিনকে ধর্ষক হিসেবে আসামী না করায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা ও গুঞ্জনের ঝড় বইছে। এ দিকে ঘটনার দিন মঙ্গলবার ধর্ষিতা ধর্ষক টিটুর স্ত্রী মুন্নী, এলাকাবাসী ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই আকিকুজ্জামানের উপস্থিতিতে গনমাধ্যম কর্মীদের জানান- টিটু ও আলাউদ্দিন তাকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষন করেছে। অথচ পুলিশ ধর্ষিতাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়ার পর মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গনমাধ্যম কর্মীদের জানায় আলাউদ্দিন ধর্ষন করেনি বলে ধর্ষিতা জানায়। বিষয়টি নিয়ে রহস্যঘনিভুত হয়ে পড়ে এলাকায় এ বিষয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও আলোচনার সৃষ্টি হয়। আলাউদ্দিন মিজমিজি পাগলা বাড়ি এলাকার একটি দ্বিতল বাড়ির মালিক তার পিতার নাম মৃত জালাল উদ্দিন ও টিটু তার ভাড়াটিয়া চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মুক্তিকান্দি গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। মুন্নি ধর্ষক টিটুর স্ত্রী।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায় আলাউদ্দিন ক্ষমতাশীন দলের এক শীর্ষ নেতার স্বজন। তাকে থানায় নিয়ে আসার পর বিভিন্ন দেন দরবার শুরু হয়। ধর্ষিতা ও তার স্বজনদের বিভিন্নভাবে সুকৌশলে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপরই তারা আলাউদ্দিনের বিষয়ে বলে সে ধর্ষন করেনি।
এলাকাবাসী জানায়, বাড়ির মালিক আলাউদ্দিন দুশ্চরিত্রের লোক। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সে অপকর্ম করতে গিয়ে একাধিক বিয়ে করেছে। এ এলাকায় আসার আগে শিমুলপাড়া এলাকায় এরুপ ঘটনা ঘটালে তাকে ওই এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হয়।
উল্লেখ্য, ১০/১২ দিন আগে ধর্ষিতা তার বড় বোন কাকুলির বাসায় বেড়াতে আসে। আসার পর থেকে টিটু তাকে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিত। ১১ মে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তাকে বাসায় একা পেয়ে হাত-পা ও মূখ বেধে তাকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে। সে সময় সে এর ভিডিও চিত্র ধারন করে রাখে। পরে ধর্ষনের ভিডিও দেখিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে আরো কয়েকবার র্ধষন করে। পরে ধর্ষিতা বিষয়টি বাড়ির মালিক আলাউদ্দিনকে জানালে সে বাসায় গিয়ে তাকে দরজা বন্ধ করে থাকতে বলে। কিছুক্ষর পর বাড়িওয়ালা তার ঘরে এসে বিষয়টি যাতে কেউ না জানে বলে হুমকি দেয়। না হলে সে টিটুর কাছ থেকে ভিডিও নিয়ে ছড়িয়ে দেবে বলে জানায়। পরে সেও তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এরপর ধর্ষিতা ভয়ে বাসা ছেড়ে ফতুল্ল¬ার মাহমুদপুর এলাকায় তার ফুফুর বাড়িতে চলে যায়। পরে সে বিষয়টি বোন কাকলিকে জানায়। সোমবার বিষয়টি কাকলি বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিনকে জানালে আলাউদ্দিন দেখবে বলে জানায়। ঘটনাটি পরে এলাকাবাসীও জেনে যায়। এরপর তারা আলাউদ্দিনকে আটক করে রাখে ও টিটুকে তালাবদ্ধ করে রাখে।
এদিকে টিটুর স্ত্রী মুন্নি এ খবর পেয়ে অফিস থেকে বাসায় এসে তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে টিটু তার স্ত্রীকে মারধর করে পালিয়ে যায়। পুলিশ বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিন ও টিটুর স্ত্রী মুন্নিকে আটক করে ও ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
ৎ