নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে শিক্ষকের কান ধরে উঠবস করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংসদ সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের বরাবরে স্মারলিপি পেশ করেছে বন্দরের সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বন্দরের বন্দর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ওই প্রতিবাদ সমাবেশে তারা মিলিত হয়। সমাবেশে নেতৃত্ব দেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ আবুল জাহের ও বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি তথা বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল। এছাড়া এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেয় নানারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব সানাউল্লাহ সানু,সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহিন,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মোঃ আফজাল হোসেন,২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধাণ,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মাকসুদ হোসেন,সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মহি উদ্দিন,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মদ,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর হোসেন,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়া,১৯ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির আহবায়ক পলি বেগম,২১ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রশীদ কন্ট্রাক্টর,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ,নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক হাসনাত রহমান বিন্দু,২১ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সামসুল হাসান,জাতীয় পার্টির নেতা নূরুনানবী ওসমানী,জেলা তরুন পার্টির নেতা মাঈনুদ্দিন মানু,সফিকুল ইসলাম ঢালী(শফি মেম্বার),এম এ সালাম,মোঃ শাহ আলম,আওলাদ হোসেন সেলিম,আমান মেম্বার,কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মদিল,২২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ মাসুম,সু কমল চন্দ্র দে,রানা প্রধাণ,নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র সমাজের সদস্য সচিব ফয়সাল উল্লাহ,থানা ছাত্রলীগ নেতা মিশুক,আরাফাত কবির ফাহিম,অনিক তালূকদার অপুসহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ বলেন,ষড়যন্ত্রেরও একটা সীমা আছে যেই মানুষটা শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন সেই মানুষটাকে নিয়েই আজকে শিক্ষক লাঞ্চিতের অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন..? সেদিন সাংসদ সেলিম ওসমান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কৌশলে রক্ষা না করলে উত্তেজিত জনতা হয়তো তার প্রাণটাই হাতিয়ে নিতো। যেখানে নিজের জীবন বাজী রেখে ওই শিক্ষককে রক্ষা করলেন সেখানে তার বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙ্গুল তোলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা বোধগম্য হচ্ছেনা। তার বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের মানেই আমরা মনে করি একজন মহান ব্যাক্তির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। দ্ব্যার্থহীণ কন্ঠে বলতে চাই সমালোচকরা সাবধান হয়ে যান। একজন জনদরদী মানুষের মান সম্মান নিয়ে খেলবেননা। তাহলে কিন্তু এর পরিণাম হবে খুবই ভয়াবহ। আতাউর রহমান মুকুল বলেন,শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সাংসদ সেলিম ওসমান লাঞ্চিত করেছেন কখাটি সঠিক নয়। সেদিন কি ঘটেছিল যারা ছিল কেবল তারাই বলতে পারবেন। পাবলিক সেন্টিমেন্টে ওই পন্থা অবলম্বন ছাড়া শ্যামল কান্তি ভক্তকে বাঁচানোর আর কোন উপায় ছিলনা। বরং এমপি সাহেব যেটা করেছেন সেটা খুবই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত আমি,জাহের ভাই,ওসি সাহেব,ইউএনওসহ আমরা সবাই অনেক চেষ্টা করেছি কোন কাজ হয়নি। উপায়ন্তর না পেয়ে এমপি সাহেবকে অনুরোধ করার পর সে এসেই ১০ মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি শান্ত করে প্রধাণ শিক্ষককে পুলিশী হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। আলহাজ্ব আবুল জাহের বলেন,সাংসদ সেলিম ওসমানের ভাল কাজের পুরস্কার যদি এমন হয় তাহলে এদেশে কেউ কারো উপকারে আসবেনা। একটি চক্র শিক্ষক লাঞ্চিতের নামে ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ছে। দুষ্ট চক্রের শয়তানি নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভাল করেই জানে। সমালোচক এবং অপ-প্রচারকারীদের হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলে দিতে চাই আর যদি জননন্দিত সাংসদকে নিয়ে অপ-প্রচার চালানো হয় তাহলে কঠোর হতে কঠোর কর্মসূচীর পদক্ষেপ নেয়া হবে।