নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
শিমরাইল মোড়ে কাউন্টার দখল, পরিবহনের চাঁদা আদায়, মুক্তিনগরে মাদকের আধিপত্য ও ৩নং ওয়ার্ড ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীদের আন্তঃ কোন্দলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মটর চালক লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আসলামের উপর হামলা চালিয়ে মারধোর করে গুরুতর আহত করার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে আসলামের মা আলেয়া বেগম। সোমবার রাতে ছেলের চিকিৎসালয় থেকে ফিরে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ দন্ডবিধি ধারায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-২০। মামলায় শীর্ষ গাঁজা ব্যবসায়ী হিরন তার ভাই দূধর্ষ সন্ত্রাসী হিরন, তাদের ভাগিনা র্যাব পুলিশ ও ডিবির তালিকাভুক্ত চিহ্নিত পাইকারী ও খুচরা মাদক ব্যবসায়ী রাজু, তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা শেল্টার দাতা আতাউর রহমান আতা, সজিব, মুজিবুর রহমান, আশ্রাফ উদ্দিন @ বুদ্ধি আশ্রাফ, রোমান ও রসুলবাগ আদর্শনগর এলাকার পাইকারী মাদকের বিক্রেতা পুলিশের সোর্স শিপন শিকদারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়েছে। আহত আসলাম সাত খুনের চার্জশিটভুক্ত আসামী বরিশাইল্লা শাহজাহানের ভাই ও মুক্তিনগর এলাকার ইশ্রাফিলের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রান নাশের উদ্দেশ্যে আসলামের উপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিমরাইল মোড়ে আসলামের বিআরটিসির একটি পরিবহন কাউন্টার রয়েছে। সেটিকে নবনির্মিত কাউন্টার শেড এলাকায় স্থানান্তরের জন্য আসলাম বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দেয় কাউন্টার মালিক কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা আজিজ। আর তার সাথে যোগ দেয় মাদক স¤্রাট রাজুর মামা ৩নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের দপ্তর সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন লিটন। এ নিয়ে আসলাম, আজিজ ও লিটনের মধ্যে একাধিকবার বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরেও এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে সূত্রটি জানায়।
আরেকটি সুত্র জানায়, শিমরাইল মোড়ে পরিবহন থেকে আদায়কৃত চাঁদার ভাগ চায় আসলাম। আসলাম শুধুমাত্র চালক লীগের নেতা বলে শ্রমিক লীগের দফতর সম্পাদক তাকে এ ভাগ বন্টন দিতে অস্বীকার জানায়। এতে উভয়ের মধ্যে দ্বন্ধ বাড়তে থাকে।
অন্যদিকে, লিটনের ভাগিনা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজু ও তার কয়েকজন মাদক বিক্রেতাকে পুলশি সম্প্রতি র্যাব ও পুলিশ ও ডিবি পুলিশ গ্রেফেতার করে। ওই ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী রাজু ও লিটন বাহিনী আসলামকে দোষারুপ করে ও তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সব কিছুর জেরে শুক্রবার দুপুরে হামলাকারীরা আসলামের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে এসএস রডরে পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে তারা আসলামকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়।
এদিকে পরিবহন কাউন্টার মালিক সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা আজিজ প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন, এখানে একটি কাউন্টার খালি রয়েছে যা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর সাহেবের। তিনি এটি আমাকে দখল করে রাখতে বলেছেন। তাই এ জায়গায় কোন কাউন্টার দেয়া যাবেনা।
প্রসঙ্গত, শিমরাইল মোড়ে কাউন্টার দখল, পরিবহনের চাঁদা আদায়, মুক্তিনগরে মাদকের আধিপত্য ও ৩নং ওয়ার্ড ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীদের আন্তঃ কোন্দলে গত শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জরে নয়াআটি মুক্তিনগরের বিক্রমপুর হোটলের পেছনে এ নির্মম হামলা চালায় শীর্ষ গাঁজা ব্যবসায়ী হিরন তার ভাই দূধর্ষ সন্ত্রাসী হিরন, তাদের ভাগিনা র্যাব পুলিশ ও ডিবির তালিকাভুক্ত চিহ্নিত পাইকারী ও খুচরা মাদক ব্যবসায়ী রাজু, তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা শেল্টার দাতা আতাউর রহমান আতা, সজিব, মুজিবুর রহমান, আশ্রাফ উদ্দিন @ বুদ্ধি আশ্রাফ, রোমান ও রসুলবাগ আদর্শনগর এলাকার পাইকারী মাদকের বিক্রেতা পুলিশের সোর্স শিপন শিকদার, সন্ত্রাসী মুন্না, রোমান, হাবিব ও তুষারসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন। পরে এলাকাবাসী মুমুর্ষবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সাজেদা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রচুর রক্তক্ষরন ও আঘাতের কারনে আসলামের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান, মারধোরে আহতের ডান পা, বাম হাত, পিঠের হাড় ভঙ্গে কয়েক খন্ডে হয়ে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তারা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানান।