নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সিদ্ধিরগঞ্জে হাতপা বেধে ১১ বছরের এক কিশোরীকে পালাক্রমে কয়েকদিন ধর্ষন করেছে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া। এ সময় ধর্ষকরা ধর্ষনের ভিডিও চিত্র করে রাখেন বলে ধর্ষিতা ও এক ধর্ষকের চাকুরীজীবি স্ত্রী মুন্নি গনমাধ্যমের কর্মীদের জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই আকিকুজ্জামানের উপস্থিতিতে। ধর্ষকরা হলো- মিজমিজি পাগলা বাড়ি এলাকার একটি দ্বিতল বাড়ির মালিক মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন ও তার ভাড়াটিয়া চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মুক্তিকান্দি গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে টিটু (৩২)। এলাকাবাসী ঘটনাটি জানতে পেরে টিটুকে তার ঘরের ভিতরে আটকে রেখে বাহিরে তালা মেরে দেয়। খবর পেয়ে টিটুর স্ত্রী মুন্নি অফিস থেকে বাসায় এসে তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে টিটু তার স্ত্রীকে মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিন ও টিটুর স্ত্রী মন্নিকে আটক করে ও ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। গত ৩/৪ দিন ধরে পুরো ঘটনাটি ঘটেছে আলাউদ্দিনের বাড়িতে। ধর্ষনকারী কিশোরী লালমনিরহাট জেলার কান্দিপুর থানার সেবকদাস গ্রামের কামলা হোসেনর মেয়ে।
এদিকে পুলিশ বলছে ধর্ষিতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. সরাফত উল্লাহর কাছে স্বিকারোক্তি দিয়েছে আলাউদ্দিন তাকে ধর্ষন করেনি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সুষ্টি হয়েছে।
ধর্ষনের শিকার কিশোরী গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, ১০/১২ দিন আগে তার বড় বোন কাকুলীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। আসার পর থেকে টিটু তাকে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিত। ১১ মে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তাকে বাসায় একা পেয়ে হাত-পা ও মূখ বেধে তাকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে।
সে সময় সে এর ভিডিও চিত্র ধারন করে রাখে। পরে ধর্ষনের ভিডিও দেখিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে আরো কয়েকবার র্ধষন করে। পরে সে বিষয়টি বাড়ির মালিক আলাউদ্দিনকে জানালে সে বাসায় গিয়ে তাকে দরজা বন্ধ করে থাকতে বলে। কিছুক্ষর পর বাড়িওয়ালা তার ঘরে এসে বিষয়টি যাতে কেউ না জানে বলে হুমকি দেয়। না হলে সে টিটুর কাছ থেকে ভিডিও নিয়ে ছড়িয়ে দেবে বলে জানায়। পরে সেও তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এরপর ধর্ষিতা ভয়ে বাসা ছেড়ে ফতুল্ল¬ার মাহমুদপুর এলাকায় তার ফুফুর বাড়িতে চলে যায়। পরে সে বিষয়টি বোন কাকলিকে জানায়। সোমবার বিষয়টি কাকলি বাড়িওয়ালা আলাউদ্দিনকে জানালে আলাউদ্দিন দেখবে বলে জানায়। ঘটনাটি পরে এলাকাবাসীও জেনে যায়।
এদিকে এলাকাবাসী জানতে পেরে আলাউদ্দিনকে আটক করে রাখে ও টিটুকে তালাবদ্ধ করে রাখে।
এলাকাবাসী জানায়, বাড়ির মালিক আলাউদ্দিন দুশ্চরিত্রের লোক। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সে অপকর্ম করতে গিয়ে একাধিক বিয়ে করেছে। এ এলাকায় আসার আগে শিমুলপাড়া এলাকায় এরুপ ঘটনা ঘটালে তাকে ওই এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হয়।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. সরাফত উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ধর্ষিতাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে আসে। থানায় এসে ধর্ষিতা স্বীকারোক্তি দিয়েছে টিটু তাকে একাই ধর্ষন করেছে। টিটু পালিয়ে যাওয়ার সহযোগীতার অভিযোগে আলাউদ্দিন ও ধর্ষক টিটুর স্ত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে।