বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কটাতেই সারাদেশের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের বন্দরেও বইতে শুরু করছে উপজেলা নির্বাচনী হাওয়া। বিগত ১০ বছরের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি’র সুবিধাবাদী প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল পর পর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও এবার তার কপাল পুড়তে যাচ্ছে বলে এমনটাই মন্তব্য করছে এ অঞ্চলের ভোটারদের অনেকেই। গত দু’দফার নির্বাচনে মুকুল স্থানীয় সাংসদের আর্শীবাদের আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থীদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও এখন আর সেই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন বলে ওই একই ব্যাক্তিরা জানান। তাদের মতে,মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এবার নির্বাচনে অংশ নিবেন নাারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুুিফয়ান। একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে মহাজোট থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে অনেকটা আশাবাদী আবু সুফিয়ান। তার বিশ্বাস যেহেতু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে প্রধাণমন্ত্রীর একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে সেহেতু আইভীর ¯েœহভাজন হিসেবে প্রধাণমন্ত্রী তাকে মনোনয়ন অনায়াসে দিবেন। সর্বোপরি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি একজন সিআইপি মর্যাদাপ্রপ্ত একজন সফল ব্যবসায়ী। একজন প্রার্থীর যা থাকা প্রয়োজন সুফিয়ানের তা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। সেই সুবাদে নেত্রী তাকেই সমর্থণ করবেন বলে তার আতœাবিশ্বাস রয়েছে। এবারের নির্বাচনে সুফিয়ান প্রার্থী হলে মুকুলের পাত্তাই থাকবেনা বলেও এরূপ মন্তব্য উঠে এসেছে ভোটারদের অনেকের মুখ থেকে। অন্যদিকে মার্চ মাসের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশীদ,মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মদ এবং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদেরর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ নির্বাচন করবেন বলে সর্বত্রই গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছে। এ নির্বাচনে আবু সুফিয়ান আদৌ চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন কি না সে বিষয়ে জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।