স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
দেশ আজ কিভাবে চলছে আমরা সবাই জানি। এভাবে একটা গণতান্ত্রিক দেশ চলতে পারে না। এর পরিবর্তন হবেই। হতেই হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গনে জাতীয় পার্টির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতার কারণে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এইউপি নির্বাচনে ৮৪ জনের প্রানহাণি হয়েছে। আগেই বলেছিলাম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের কারণেই এ দুরবস্থা। এরশাদ বলেন, নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন ছাড়া এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার উপায় নেই। মানুষ প্রার্থীকে নয়, ভোট দিবে দলকে।
তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে। এরশাদ তার সামরিক ক্ষমতা দখলের বিষয়ে বলেন, আমি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইনি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে তিনি ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। এ জন্য ৮৪ সালে নির্বাচন দিয়েছি। কিন্তু প্রধান প্রধান দলগুলো সে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে জাতীয় পার্টি সৃষ্টি করে ক্ষমতা গ্রহণ করি।
কাউন্সিল অধিবেশনে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এছাড়া বক্তব্য দুই কো-চেয়ারম্যান। রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির ভেতরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে। এর জন্য যা যা করার দরকার, তা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বড় বড় নেতারা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা বরাবরই বঞ্চিত হয়।
রওশন বলেন, অতীতের ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। যখন আমাদের নেতাকর্মীরা জেলে ছিলেন, তখনও আমরা ৩৫টি আসনে জিতেছিলাম। এখন কেনো পারি না। আমাদের দুর্বলতা কি, সেটা খুজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, ছাত্রদের ছাত্র রাজনীতি নিয়েই থাকতে হবে। জাতীয় রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ না করাই ভালো। এসময় তিনি প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপনের দাবি জানান।
জিএম কাদের তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান রানৈতিক ধারার আমুল পরিবর্তন চায় সাধারণ মানুষ। তারা রাজনীতি বলতে নিম্নগামী কোনো পন্যকে বুঝে। বর্তমানে রাজনীতি নৈতিকতা বিমুখ হয়ে গেছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। সাধারণ মানুষ এ রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চায়। এসময় নিজ দলের রাজনৈতিক দলের আদর্শ ও লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করার তাগিদ দেন তিনি।
এর আগে সকাল ১০টায় এরশাদ জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কাউন্সিলররা।