বিজয় বার্তা ডট কম
ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুরে আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতারের পর এলাকায়বাসীর মাঝে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। কেননা ভয়ঙ্কর এই সদস্য নারায়ণগঞ্জে বড় ধরণের নাশকতার প্রস্তুতি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জঙ্গি সদস্য গ্রেফতারের পর কাশীপুরে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। কারন ঐ জঙ্গি সদস্য ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের নেতার পুত্র। জানাগেছে, কাশীপুরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। গ্রেফতারকৃত জঙ্গি সদস্য আবু বক্কর সাজন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শফিউল্লাহ শফির পুত্র। গত বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব-৩ এর বিশেষ অভিযানী দল কাশীপুরের মাদবর বাড়ি এলাকার সাজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। র্যাব-৩ এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। সাজনের তথ্যে আমরা এই চক্রের প্রধান সদস্যাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এখনই সব প্রকাশ করলে সঙ্গি সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যাবে। র্যাব-৩ আরো জানায়, সাজন ঢাকার যাত্রাবাড়িতে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তার সংগঠনের সদস্যরা কেউ গ্রেফতার হলে নারায়ণগঞ্জের কাশীপুরে অবস্থান নিতো আবু বক্কর (সাজন)। একটি মামলা তদন্ত কালে প্রথম সাজনের নাম আসে। গোয়েন্দা নজরদারী বাড়িয়ে সাজনকে গ্রেফতার করা হয়। সাজনকে ইতিমধ্যে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করেছে। দেশেরস্বার্থে এরচেয়ে বেশি তথ্য দিতে রাজি হয়নি র্যাব-৩ এর এই কর্মকর্তা। জানাগেছে, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি গত জাতীয় শোক দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংসদ শামীম ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঐ অনুষ্ঠানে জঙ্গি সদস্য সাজনও উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঢাকার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে আনসার আল ইসলাম নামে জঙ্গি সংগঠনটি। আর তাদের টার্গেট শামীম ওসমানও হতে পারে এমনটা অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সূত্রে আরো জানাগেছে, কাশীপুরে শফিউল্লাহ শফির বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এছাড়াও ভূমি দস্যুতা, নারী কেলেংকারীর, মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার, অবৈধ এসিড ব্যবসা করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আর তার পুত্র জঙ্গি সদস্য। এদিকে, জঙ্গি সদস্য আবু বক্করকে শেল্টার দেয়ার অভিযোগে শফিউল্লাহ শফিকে গ্রেফতার করতে পারে র্যাব-৩। র্যাব-৩ এর এক উর্ধ্বতম কর্তকর্তা জানান, আনসার আল ইসলামের সদস্য আবু বক্করকে শেল্টার দেয়ার কারণে শেল্টার দাতাও অপরাধী। তদন্ত স্বার্থে তাকেও আমরা পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করব।