খেলাধূলাডেস্ক,বিজয় বার্তা ২৪
বেতন-বোনাস ও এন্ডোর্সমেন্ট মিলিয়ে গত বছর ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ফোর্বস সাময়িকীর হিসেবে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন বার্সেলোনার লিওনেল মেসি।
ফোর্বস সাময়িকীর তালিকায় আবারো বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল ক্লাবের মর্যাদা পাওয়া রিয়ালের তারকা ফরোয়ার্ড রোনালদো গত বছর মোট ৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পান। এর মধ্যে বার্ষিক বেতন ও বোনাস ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর ২ লাখ ৯০ লাখ ডলার তিনি পান এন্ডোর্সমেন্ট থেকে।
বেতন, বোনাস ও এন্ডোর্সমেন্ট মিলিয়ে তিন বারের বর্ষসেরা ফুটবলার ৩১ বছর বয়সী রোনালদো সব ধরনের দলীয় খেলাগুলোর মধ্যেও সর্বোচ্চ অর্থ পাওয়া খেলোয়াড়।
২০১৫ সালের ফিফা-ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতা মেসি গত বছর মোট ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার পান। ২০১৪ সালে বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তি করা ২৮ বছর বয়সী এই তারকা ফরোয়ার্ড বেতন ও বোনাস থেকে পান ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর এন্ডোর্সমেন্ট থেকে আসে বাকি ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
ফোর্বস জানায়, পেশাদার ফুটবলে রোনালদো তার ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ৫৫ কোটি ডলার পান। আর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বার্সেলোনায় খেলা মেসি তার ১১ বছরের ক্যারিয়ারে পান মোট ৪৫ কোটি ডলার।
দলীয় খেলাগুলোর খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার জুড়ে রোনালদোর চেয়ে বেশি বেতন পাওয়া আছেন কেবল কোবি ব্রায়ান্ট। ফোর্বসের খবর অনুযায়ী, গত এপ্রিলে অবসর নেওয়া এই বাস্কেটবল খেলোয়াড় তার ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৬৮ কোটি ডলার পান।
ফোর্বসের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন পিএসজির সুইডিশ ফরোয়ার্ড জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। বেতন, বোনাস ও এন্ডোর্সমেন্ট থেকে মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার পান তিনি।
বেতন, বোনাস ও এন্ডোর্সমেন্ট মিলিয়ে গত বছর চতুর্থ সর্বোচ্চ অর্থ পান করেন বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড নেইমার। ফোর্বসের তালিকায় বেতন-বোনাসের চেয়ে এন্ডোর্সমেন্ট বেশি পাওয়া একমাত্র ফুটবলার ব্রাজিলের এই অধিনায়ক। ২০১৫ সালে এন্ডোর্সমেন্ট থেকে তিনি পান ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর বেতন-বোনাস পান ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
২০১৩ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে নাম লেখানো গ্যারেথ বেল গত বছর ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার পেয়ে আছেন এই তালিকার পঞ্চম স্থানে। বার্সেলোনার আক্রমণ ত্রয়ীর তৃতীয় সদস্য লুইস সুয়ারেস ফোর্বসের তালিকায় অষ্টম স্থানে আছেন। গত বছর তিনি পান ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।