নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার বন্দরে আল্লাহ ও নবীজীকে নিয়ে কটুক্তি করায় বন্দরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষককে প্রায় ৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী দফায় দফায় মিছিল ও বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার দুপুরে থানার কল্যান্দীস্থ পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমান ভন্ড শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে জনসম্মুখে ২০ বার উঠবস করিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। সাংসদ সেলিম ওসমানের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে উপস্থিত জনতা তাকে সাধূবাদ জানায়। তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে নানা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ আবুল জাহের,বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হাবিব,বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধাণসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ। স্থানীয়রা জানায়,গত রোববার সকালে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালে প্রধাণ শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র রিফাতকে অহেতুক মারপিট করে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদেরকে পাশাপাশি আল্লাহ ও নবীজীকে নিয়ে কটুক্তি করে। এ সময় শিক্ষার্থী রিফাত প্রতিবাদ করলে প্রধাণ শিক্ষক তাকে বেদম মারপিট করে। বিষয়টি রিফাতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে লিখিতভাবে অবহিত করলে পরিচালনা কমিটি শুক্রবার ওই ঘটনার সুরাহার চেষ্টা করলে খবর পেয়ে এলাকার সর্বস্তরের লোকজন সমঝোতা বৈঠকস্থলে এস হাজির হয়। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই উত্তেজিত জনতা প্রধাণ শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে মারধরের জন্য উদ্যত হলে ম্যানেজিং কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা তাকে কৌশলে অফিস কক্ষের ভিতরে নিয়ে যায়। পরে পরিস্থতি বেগতিক হয়ে উঠলে পুলিশে সংবাদ দেয়া হয়।