বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের লক্ষণখোলায় মাদ্রাসা মার্কেটের দুই নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে ৩টি ব্যাটারী দোকানের প্রায় ২৭ লাখ টাকার মালামাল লুটের মামলা অবশেষে গোয়েন্দা(ডিবি)পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার দ্রুত তদন্তের স্বার্থে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালামের নির্দেশে রোববার সকালে বন্দর থানার ওসি(তদন্ত) হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা(ডিবি)’র ওসি(তদন্ত) মোঃ গিয়াসউদ্দিনের উপর তদন্ত ভার ন্যাস্ত করেন। এদিকে শনিবার রাতে বন্দর থানা পুলিশ লৌমহর্ষক এ ঘটনার ৩সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে,বন্দরের দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার মৃত সেলিম সাউদের ছেলে অপু সাউদ(২৫),বন্দরের বঙ্গশাসন এলাকার মৃত
আহাম্মদ আলীর ছেলে জাহের মিয়া(২৯) ও বন্দরের সোনাচোরা এলাকার মৃত আক্তার
হোসেনের ছেলে আলতাফ(২৮)। আটককৃত ৩ জনের মধ্যে আলতাফ (২৮) ও অপু সাউদ (২৬) ডিবি কার্যালয়ে রয়েছে। অপর আটককৃত জাহের বন্দর থানা হেফাজতে রয়েছে। শনিবার রাতে লক্ষণখোলাসহ পাশর্^বর্তী এলাকা হতে সন্দেহভাজনদেরকে আটক করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক দস্যূতা মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের ওই কর্মকর্তা। সূত্র মতে,দক্ষিণ লক্ষণখোলা মাদ্রাসা বাজার সংলগ্ন মার্কেটের বিসমিল্লাহ ব্যাটারী ষ্টোরের মালিক উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার মৃত হাজী মোঃ হাকিম খানের ছেলে হাজী মোঃ আলমগীর,সততা ব্যাটারী মেলার মালিক আমির হোসেন ও সততা ব্যাটারী সার্ভিসিংয়ের মালিক আয়নাল হক শুক্রবার পৌণে ১২টায় তাদের স্ব স্ব দোকান বন্ধ করে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। রাত সোয় ১টায় ওই মার্কেটের চা দোকানী দুই নৈশপ্রহরীকে ডিউটিরত অবস্থায় দেখে বাড়িতে চলে যান। ভোর ৫টায় বাজারের ঝাড়–দার দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার হাসেম মিয়ার ছেলে মনির ঝাড়– দিতে এসে ব্যাটারী দোকানগুলোর টিনের বেড়া ভাঙ্গা দেখতে ভেতরে উঁকি দেয়। পরবর্তীতে নৈশপ্রহরী রায়হানের রক্ত মাখা মাথায় জখম দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠে। পরে আশ পাশের লোকজন জড়ো হয়ে অপরাপর প্রহরী মোতালেবকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ব্যাটারী দোকানীরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাদের দোকানের গর্দা,ব্যাটারী,লিক,আইপিএস মেশিন,পাওয়ার প্লাস,অটোরিকশার চার্জার,ডিনজং,ডিনজিংসহ প্রায় ২৭ লক্ষাধিক টাকার মালামাল খোঁয়া দেখতে পান।
এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি শাহীন মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,শুক্রবার গভীর রাতে ১০/১২জনের একটি অজ্ঞাতনামা ডাকাত দল ট্রাকযোগে উপজেলার লক্ষণখোলা মাদরাসা মার্কেটের ব্যাটারির দোকানে হানা দেয়। এ সময় মার্কেটের দুই নৈশপ্রহরী বাধা দিলে ডাকাতরা দুই নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আলমগীর আর মোতালেব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।