স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করা আলোকদিয়া মৌজার ১২০ শতক জমির দলিল কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এস আলম গ্রুপ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করেছে এই জমি সেই এলাকায়ই অবস্থিত।
রবিবার দুই সহোদরের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মতি।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, অর্থ সচিব, পানি সম্পদ সচিব, বিদ্যুৎ সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ (রাজস্ব) ১৩ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মতিউর রহমান জানান, গণ্ডামারার আলোকদিয়া মৌজায় দুই আবেদনকারী ১২০ শতক জমি সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ২০১১ সালে ৩ নভেম্বর রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু জমির সঠিক মূল্যে ৩৬ লাখ টাকা। এর সমর্থনে ওই এলাকার আরো দলিল আদালতে উপস্থাপন করি। কমদামে জমি কেনার কারণে সরকার কয়েকশ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি পায়নি। আর জমির মালিকরাও সঠিক দাম পায়নি। একইভাবে ৮০০ একর জমি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ক্রয় করার কারণে বিক্রেতাগণ ভিটে মাটি ছাড়া জমির উপযুক্ত দাম পায়নি।
তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপক্ষে নয়। তবে আমরা জমির সঠিক দাম চাই।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম বড়ঘোনার মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের দুই ছেলে আবুল ফজল সিকদার ও আনোয়ারুল আজিম সিকদার।