বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহ-জাহান খান বলেছেন, আওয়ামীলীগ বিছিন্ন সন্ত্রাসী দল তারা জনগনকে কোণ্ঠাশা করার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। যাদের বন্দুক হাতে রয়েছে আমরা তাদেরকে দেখবো না, যে পরিচালনা করছে তাকে দেখবো। সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানের কর্মসূচীতে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে ভূল করবে।
দেশের স্বাধীনতা এখন ধ্বংসের ধারপ্রান্তে শুধু তাই নয় বিচার ব্যবস্থাও সঠিক ভাবে চলছে না। প্রধান বিচারপ্রতি সঠিক রায় দেয়ার কারনে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে, তাই সকল বিচারকরা এখন আতংকিত। সরকারকে বলে দিতে চাই শুষ্ঠ বিচার ব্যস্থার পরিবেশ সৃষ্টি না হলে জনগন বসে থাকবে না। দেশের মানুষ এর দাত ভাঙ্গা জবাব দিবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানে কর্মসূচী সফল করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি মূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন নেত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে কারন বিএনপি জনগনের দল। কারন বিএনপির কোন দাবী নেই শুধু তত্ত্বধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া। সরকার জন-বিছিন্ন হয়ে পরেছে জনগনের প্রতি তাদের আস্থা নেই। তাই বিএনপি’কে সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। অনেক হয়েছে আর না বিএনপি’কে ধ্বংস করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু কিছুই করতে পারেনি।
মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম’র সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি নুর ইসলাম সরদার, আতাউর রহমান মুকুল, হাজী নুরুউদ্দিন, ফখরুল ইসলাম মজনু, এড. জাকির হোসেন, আয়সা সাত্তার, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন রোজেল, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর সেন্টু, শওকত হাসেম শকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, কোষাধক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, মনোয়ার হোসেন শোখন, আলী ইমরান শা মীম, নাজমুল হক রানা, আনোয়ার হোসেন আনু, মোস্তাফিজুর রহমান পাবেল, জাহিদ হাসান বিপ্লব, রোমান, গোগা, আরিফ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউছার আশা প্রমুখ ।
প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রী বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, বিগত কর্মসূচী গুলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যেভাবে সফল করেছে সেটার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষকে নিয়ে ভবিষ্যত্বেও করবেন। কারন আমজনতার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রক্তচোখুর ভয়ে পিছ পা হন না। আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে আগামী দিনে লড়াই সংগ্রামে দেশনেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবো। আমি আশাকরি বিগত কর্মসূচী গুলোর মত ১২ নভেম্বরে সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানের কর্মসূচীস্থল’কে জন সমুদ্রে পরিনত করবেন।