চাঁপাইনবাবগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
চাঁপানবাবগঞ্জের অব্যাহত তীব্র তাপদাহের পাশাপাশি ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠিক এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী (নির্বাহী) জাকির হোসেন লোডশেডিং এর ব্যাপারে স্থানীয় গ্রাহকদের শান্তনার বাণী শোনান। বৃহস্পতিবার উপজেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে হাঁপিয়ে উঠছে এলাকার মানুষ। দিনের বেলা বৃদ্ধিও সাথে সাথে রোদের তাপমাত্রা ও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকায় ঘর থেকে বের হতে পারে না সাধারন মানুষ। তবে বাধ্য হয়েই রিকশা-ভ্যান নিয়ে বের হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের। গরমের তীব্র্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমী বায়ু প্রবাহ শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও বাড়বে। সাধারণ মানুষ একটু স্বস্তি পেতে গাছের নিচে তাল পাখা বিশ্রাম নিচ্ছেন । বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চারদিকে খাল-বিল নদী-নালা শুকিয়ে যাচ্ছে। গত ৫ এপ্রিল বৃষ্টির পর হঠাৎ করে উপজেলার আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়ে আসে এবং তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। যা সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাএদিকে শিবগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংকট নিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় আবাসিক প্রকৌশলীর দপ্তরে স্থানীয় সুধী ও সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী (নির্বাহী) জাকির হোসেন লোডশেডিং এর ব্যাপারে শান্তনার বাণী শোনান। তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্র্মকতা-কর্মচারীদের নেই কোনো গাফলতি। বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা ধৈর্য্য ধরে আন্তরিক ভাবে সহকারে সহযোগিতা করলে অসুবিধা হবে না। প্রচুর গরমে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। বৃষ্টি হলে কেটে যাবে সংকট। শিবগঞ্জ এলাকায় ৪ দশমিক মেগাওয়াটের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যায় মাত্র ২ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছে বিদ্যুৎ অফিস।