বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিপুল পরিমান পর্ণোগ্রাফী ও পাইসেরীর কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার সরঞ্জামাদিসহ পাইরেসী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন সোনাপুর কাঁচপুরস্থ মতিনখান প্লট মার্কেট ও দেলোয়ার সুপার মার্কেট এর বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-১১ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতের জানান, ২৭ আগস্ট ২০১৭ ইং তারিখ ২১.০৫ হতে ২২.১০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল মেজর আশিক বিল্লাহ এর নের্তৃত্বে সংগীয় অফিসার সিনিঃ এএসপি মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী এবং মোঃ শহিদুল ইসলাম টিটু, প্রধান সমন্বয়কারী, চলচ্চিত্রে অশ্লিলতা ও পাইরেসী বিরোধী টাস্ক ফোর্স, বিএফডিসি, তেজগাঁও, ঢাকা সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন সোনাপুর কাঁচপুরস্থ মতিনখান প্লট মার্কেট ও দেলোয়ার সুপার মার্কেট এর বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে পর্ণোগ্রাফি ও পাইরেসী চক্রের সদস্য আসামী ১। মোঃ ফাহাদ (১৯), পিতা-মোঃ রুহুল আমিন, সাং-দ্বন্দী, থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ২। মোঃ শাহ আলম (৩৫), পিতা-মৃত সোবহান, সাং-বোয়ালদী, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৩। মোঃ রতন মিয়া (২৭), পিতা-মোঃ হাবিবুল্লাহ, সাং-চৌরাপাড়া, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, এ/পি-রব মিয়ার বাড়ী, মেম্বার গলি, সোনাপুর, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৪। মোঃ শামীম (৩২), পিতা-মোঃ আব্দুল হাকিম, সাং-পাঠাত্তা, পোস্ট-কাঁচপুর, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৫। মোঃ ইউসূফ আলী (২৫), পিতা-মৃত শুক্কুর আলী, সাং-আলীর টেক, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, এ/পি-সেলিম সাহেবের বাড়ী, মেম্বার গলি, সোনাপুর, কাঁচপুর, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ দেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেরে মোঃ মাসুদ রানা (২৪), পিতা-মোঃ মজিবুর রহমান, সাং-খিদরা উপনচকি, থানা-কাউনিয়া, জেলা-রংপুর পালিয়ে যায়। আসামীদের হেফাজত হতে পর্ণোগ্রাফি ও পাইরেসীর কাজে ব্যবহৃত ০৭ টি মনিটর ও ০৭ টি সিপিইউ উদ্ধার করা হয়।
উপরোক্ত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের নিজেদের কাছে কম্পিউটারের সিপিইউতে পর্ণোছবি (নীল ছবি), বিভিন্ন শিল্পীদের অশ্লীল গান, সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছায়াছবির কপিরাইট করে রেখে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিল। উঠতি বয়সী তরুন তরুনী সহ বিভিন্ন ক্রেতাদের নিকট তাদের কম্পিউটারে সংরক্ষিত অশ্লীল অডিও, ভিডিও গান, নীল ছবি ডাউন লোড, চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছায়াছবি কপিরাইট করে সিডি, পেনড্রাইভ, কার্ড রিডার এর মাধ্যমে মেমোরীতে ডাউনলোড করে ব্যবসার মাধ্যমে যুব সমাজকে অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি র্যাব-১১ এর গোচরীভূক্ত হলে র্যাব-১১ এর একটি চৌকসদল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে উপরোক্ত আসামীদের উল্লেখিত পর্ণোগ্রাফী ও পাইসেরীর কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার সরঞ্জামাদিসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ সংক্রান্তে আসামীদের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ এবং বাংলাদেশ কপিরাইট আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।