আবাসিক গ্যাস ব্যবহারের তুলনায় দ্বিগুণের বিল পরিশোধ করছেন গ্রাহক। এই সংকট কাটাতে প্রিপেইড মিটার বসানোর পাইলট প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও মূল প্রকল্পে অগ্রগতি হয়নি ৩ বছরেও। এ কাজে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময় নিয়েছে তিতাস। এদিকে আগামী বছর থেকে পাইপে আবাসিক গ্যাস পাওয়া যাবে না জানিয়ে, এলপিজিতে যাওয়ার পরামর্শ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের।
দুই চুলায় মাসে ৯২ ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করে আটশ টাকা বিল পরিশোধ করেন আবাসিক গ্রাহক। তবে বিতরণ প্রতিষ্ঠানের হিসাবেই এর পরিমাণ গড়ে ৪০ ঘনফুট গ্যাস। এই হিসাবে কম ব্যবহার করে বিল বেশি দিচ্ছেন গ্রাহক। এতে দ্বিগুণের বেশি সিস্টেম গেইন হচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের।
এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করছেন মোহাম্মদপুরের সাড়ে ৪ হাজার গ্রাহক। বিলও দিচ্ছেন সেই হিসেবে। রাজধানীর তিন এলাকায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় তিতাসের প্রিপেইড গ্যাস মিটার দেয়া হয়েছে ১৫ হাজার।
কথা ছিল ২০১৮ সালের মধ্যে দুই লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেবে তিতাস। তবে সে প্রকল্প পিছিয়েছে এক বছর।
এদিকে আগামী বছর থেকে আবাসিকে পাইপ-লাইনের গ্যাস পাওয়া যাবে না জানিয়ে এর ওপর নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিচ্ছে সরকার।
ব্যবহারকারীদের বড় অংশই আবাসিক গ্রাহক হলেও মোট গ্যাসের মাত্র ১৪ ভাগ ব্যবহার করছেন তারা।