বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
গত কয়েকদিন ধরে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সীমানা বিরোধ চলছে। সদর থানাধীন ২টি ও বন্দর থানাধীন ৫টি ইউনিয়ন মহানগর আওয়ামীলীগের দাবি করে আসছেন সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। তারা এই সীমানাগুলো আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ডা. দিপু মনি মহানগর আওয়ামলীগের আওতাধীন করেছেন বলে একটি গনমাধ্যমে দাবি করেন। এদিকে মানচিত্রের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নাসিকের বাইরে সদর ও বন্দর ইউনিয়নের সীমানা নিজেদের বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই।
নানা জল্পনা কল্পনা শেষে আজ আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সেই সীমানা নিয়ে মুখ খোললেন ডা. দিপু মনি। সামীনা বিরোধের বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে খাবার খাওয়ার সময় বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এম রশিদ উপস্থাপন করেন। এসময় ডা. দিপু মনি বলেন, মানচিত্রের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদর ও বন্দর ইউনিয়নের সীমানাগুলো জেলা আওয়ামীলীগের আর নাসিকের ২৭ টি ওয়ার্ডের জায়গা মহানগর আওয়ামীলীগের আওতাধীন। এই নিয়ে বিরোধের কিছু নাই। যে যার জায়গায় সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম চালাবে এমনটিই জানালেন উপস্থিত কয়েকজন নেতা।
এর আগে অনুষ্ঠান শেষে ডা. দিপু মনির কাছে সীমান বিরোধের বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন জেলা আওয়ামীগের নেতৃবৃন্দকে তাদের সীমানা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনারা তাদের সাথে আলাপ করেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তি আব্দুল হাই বিজয় বার্তা ২৪ ডট কমকে জানান, নাসিকের ২৭ টি ওয়ার্ডের বাইরের সদর ও বন্দর থানাধীন ইউনিয়নের জায়গা মানচিত্রের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাদের। অনেকটা জোরপূর্বক এই সীমানাগুলো মহানগর আওয়ামীলীগ দাবি করেন। আজ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ডা. দিপু মনি জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সীমানা সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলে গেছেন। তিনি বলেছেন সদর থানাধীন ২টি ও বন্দর থানা ৫টি ইউনিয়ন জেলা আওয়ামীলীগের। আর নাসিকের ২৭ টি ওয়ার্ড মহানগর আওয়ামীলীগের। যার যার সীমানায় তাকে তাকে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম চালাতে বলছেন। এই নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করতে না বলছেন।