বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ওরা থেমে নেই। একটি পত্রিকার গোয়ন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী এক বছরে বাংলাদেশ আত্মঘাতি হামলার আশংকা রয়েছে। খেলা শুরু হয়ে গেছে। এবার ডু আর ডাই। সামনে আঘাত আসতাছে। এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্ম। আর ওরা এই নারায়ণগঞ্জকেই বেশী টার্গেট করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজিত বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছি। এখন চারপাশে দেখা যাবে সব আমাদেরই লোক। কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে শুধুমাত্র দুটি দল। একটি হল আওয়ামীলীগ আরেকটি হল এন্টি আওয়ামীলীগ। আমরা একদিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঐক্য করি আর ওরা ভাঙ্গার রাজনীতি করে। আওয়ামলীগকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করতে দিবো না। ষড়যন্ত্রকারীদের কোন ছাড় নেই।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক উন্নয়ন করেছি। কিছু কাজ বাকি আছে। ডিএনডি জন্য বরাদ্দ এনেছি। কেউ কেউ ডিএনডির উন্নয়ন নিয়ে খেলছেন। ডিএনডির কাজ শুরু হবে। এক বছর আগে একনেক করেছি। আমি সংলিষ্ট মন্ত্রনালয়ে যাবো এই কাজ সমাপ্ত করবো। তারা যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়। তাহলে প্রয়োজনে লিংক রোডেস্থ সাইনবোর্ডের রাস্তায় আমার নেতাকর্মী ও নারায়ণগঞ্জবাসীকে নিয়ে অমরন অনসন করবো। যেভাবেই হোক কাজ শেষ করবো।
তিনি আরো বলেন, যারা খেলছেন, যারা খেলা শুরু করেছেন। মনে রাখবেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ ভয় পায় না। তারা খেলতে পারে। অনেক উন্নয়ন করেছি এবার একটু রাজনীতি করে নেই। এবার খেলা হবে ডু অর ডাই।
তিনি আরো বলেন, দলের ভিতর দুই একজন উল্টা প্লাট কথা বলছেন।এগুলো নেতাকর্মীরা মাথায় নিবেন না। আমাকে গালাগাল দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামীলীগ একটা পরিবার। এখানে ঝগড়া বিবাদ থাকবেই। আশাকরি আগামী ১৩ আগষ্ট বিশাল শোক র্যালীতে প্রমান হয়ে যাবে আমরা কতটা ঐক্যবদ্ধ।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বাবু চন্দনশীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, মহানগর কৃষকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক জিল্লুুর রহমান লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসান হক নিপু, তাঁতীলীগের সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, মহিলা নেত্রী অধ্যক্ষ শিরীন বেগম, ইসরাত জাহান স্মৃতি, সুইটি ইয়াসমিন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, সহ সভাপতি এড. আলী আকবর। এছাড়া আরো উপস্থিদ ছিলেন, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি সিব্বির আহম্মেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুর রহমান সঞ্চয়, মাকসুদ হোসেন রকি, প্রচার সম্পাদক ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন, দপ্তর সম্পাদক ইমরানুর রশিদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান রেসিন, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক এস আলম রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাদিয়া সুলতানা শান্ত সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাঁটা শেষে শহরে একটি র্যালী বের করা হয়।