বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, জলাবদ্ধতা আর যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীদের। এই তিন যন্ত্রণা যেন নাসিকবাসীর প্রতিবছরের প্রাপ্তি হয়ে উঠেছে। টানা ভারি বর্ষণে নাসিক এলাকা জলে নিমগ্ন। ক্রমেই বৃষ্টি বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগও। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানিতে থই থই করছে বড় বড় সড়কসহ পাড়া-মহল্লার অলিগলি। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বেড়েছে দুর্ভোগ। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নগরবাসী। সোমবার সকাল থেকে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে শহরের চাষাড়া, ঢিআইটি, কালিরবাজার, ভন্দর,সিদ্ধিরগঞ্জসহ পুরোএলাকায় হাটু থেকে কোমর পানিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকায় সৃষ্ট এই জলাবদ্ধতায় বিপাকে ফেলেছে প্রয়োজনের তাগিদে বের হওয়া নগরবাসীদের। সড়কজুড়ে হাঁটুসমান পানিতে পথচারী ও যানবাহনের আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার ধারের অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে বেড়ে গেছে রিকশা ভাড়া বৃষ্টির কারণে নারায়ণগঞ্জের সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের ভেতরে পানি জমে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লি কতৃপক্ষ। এদিকে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করতে করতে সিটি করপোরেশনে ইমার্জেন্সি টিম মাঠে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাসিকের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘যেসব এলাকায় বেশি পানি জমে আছে,তা অপসারণের জন্য কর্মীদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বিকেল থেকে বৃষ্টির মাত্রা কমতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে সাগরে এই সংকেত ছিল।
শেষ রাত থেকে টানা বর্ষণে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্নস্থানে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর ছাড়িয়েছে। জলজটের সঙ্গে যানজটে নগরজুড়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্নস্থানের মতো নারায়ণগঞ্জেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার থেকে ভারি বর্ষণ চলছে। টানা বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যাওয়ায় যানবাহনের গতি কমে সৃষ্টি হচ্ছে জট। বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কাজের জন্য বেহাল রাস্তায় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। এর মধ্যে গণপরিবহন কম থাকায় চরম আকার ধারণ করেছে মানুষের দুর্ভোগ। সকালে বৃষ্টির মধ্যে প্রায় কেউই সময়মত কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে পঞ্চবটির বাসা থেকে চাষাড়াস্থ অফিসে পৌঁছেতে সময় লেগেছে সোয়া দুই ঘণ্টা। তিনি জানান, ভারি বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানবাহন অন্য দিনের তুলনায় কম। ফলে গাড়ি পেতেই সবার সমস্যা হচ্ছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জলাবন্ধতার কারণে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।