বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী আসনগুলোতে পাল্টে যেতে পারে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তালিকা। বিগত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের যোগ্যতা ও দুর্বলতাকে বিবেচনা করে এসব প্রার্থী বদল হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া অনেক নেতা দলের আন্দোলন সংগ্রামে তেমন ভূমিকা না রাখার কারনে জনপ্রিয় নতুন প্রার্থীদেরকে দেখা যাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
জানা গেছে, জেলার ৫টি আসনের প্রার্থীতা পরিবর্তন করা হবে। দলের এ অবস্থান বুঝতে পেরে এ সকল আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে এলাকাভিত্তিক গণসংযোগ এবং নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন।
পাশাপাশি দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে গুলশান অফিস ও নয়াপল্টন অফিসে যাতায়াত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ব্যবহার করছেন ফেসবুকসহ যোগাযোগের সকল মাধ্যম। আর এসব মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতার বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-১(রুপগঞ্জ) আসনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় যুবদলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু বিএনপির দলীয় সমর্থন নিয়ে এ আসনে নির্বাচন করবে বলে শুনা যাচ্ছে। প্রত্যেক প্রার্থী তাদের নীজ নীজ কর্মী সমর্থকদের সাথে সাথে যোগযোগ রক্ষাসহ স্থাণীয় সাধারন মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছেন এবং আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন ইস্যুকে পুজি করে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে আসছেন।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির দলীয় সমর্থন নিয়ে সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এমএ বদরুজ্জামান খান খসরু নির্বাচন করবেন বলে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। আপন দুই ভাই হলেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার মনোভাব তাদের মধ্যে একটুও নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে সহোদর দুই ভাই নীজ বলয়ের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ এলাকায় প্রচারনা চালিয়ে আসছে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনপির দলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষন করেছেন মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল, সাবেক সাংসদ রেজাউল করিম, সোনারাগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান আজারুল ইসলাম মান্নান। তবে এখনো তারা মাঠে নামেননি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে সক্রিয় রেখেছেন তাদের অবস্থান।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সাবেক সাংসদ আলহাজ¦ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহ আলম দলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করার জন্য দলীয় হাই কমান্ডের সাথে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। সে সাথে স্থাণীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষাসহ একাধিক সভা করেছেন এবং সাধারন মানুষের কাছে আওয়ামীলীগের নীতিবাচক বিষয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি থেকে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. তৈমুর আলম খন্দকার এবং মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনাসহ প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছে।
বিএনপির বিগত আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের অনেকেই নিষ্ক্রিয় থাকায় তৃনমূল অনেকটাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি আসনে ত্যাগী ও নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন এমন নেতাদেরই যেন মনোনয়ন পত্র দেওয়া হয়।
কেন্দ্রিয় বিএনপির সূত্র মতে, বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ও নতুন মুখকেই মনোনয়ন পত্র দেওয়া হবে বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রিয় বিএনপির নিযুক্ত গোয়ান্দারা নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষন করছেন এবং তৃমূলের চাহিদার বিষয়টিও দেখছেন। তাদের পর্যবেক্ষন রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতাদের মনোনয়ন পত্র দেওয়া হবে।