বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদক, সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ মুক্ত করার জন্য প্রতিনিয়ত আইন-শৃঙ্খলা, সভা মিটিং করে ঘোষনা করে থাকেন কিন্তু কার্যক্রম হচ্ছেনা কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাও জন্য। পুলিশ কর্মকর্তা যখন মাদক স্পট থেকে টাকা খায় এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সেল্টার দেয় তখন কোন ভাবেই মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দূর করা যায় না।
এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)’র এস আই আছাদুজ্জামান খান শেখ এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ দিকে হাফিজুর রহমান বাবু নামে এক চাউল ব্যবসায়ী গত ১৯ জুন সোমবার এসপি অফিসে লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করে চোঁখ বেধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে প্রথমে ২ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবি করে এবং গরীব দেখে ৫০ হাজার টাকার দাবি করলে রাত সাড়ে ৮ টার সময় আমার ছোট ভাই ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল এস আই আছাদুজ্জামানের হাতে দিলে আমাকে মুক্তি দেয়। ছেড়ে দেয়ার সময় হুমকি দেয় আরো ৫০ হাজার টাকা না দিলে পুনরায় ধরে এনে ২শ’ পিছ ফেন্সিডিল দিয়ে চালান করবে। এখন আমি জীবন নিরাপত্তার জন্য এসপি অফিসে অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছেনা। আমাকে এখনও প্রতিনিয়ত মোবাইলে হুমকি প্রদান করছে।
অপর দিকে গত ১৭ জুন রাত সাড়ে নয়টার নাসির আহম্মেদ নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক কাজ শেষ করে মন্ডলপাড়া ব্রীজে দাড়িয়ে ছিল। তখন তল্লাশির নাম করে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)’র এস আই আছাদুজ্জামন খান শেখের বিরুদ্ধে।
অপর দিকে গত ২৮ জুন বুধবার সন্ধায় মৃত কালু সরদারের ছেলে আসলাম শেখ অভিযোগ করে বলেন, ফতুল্লা থানাধীন খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে হীরা ড্রাইং মৎস খামারের সামনে একটি কালো মাইক্রোবাস থেকে দুইজন লোক এসে আমাকে এস আই আসাদ ডাকছেন বলে জানায়। তখন আমি তার সামনে গেলাম। আমি গাড়ির সামনে গিয়ে এস আই আসাদ সহ তার সাথে কয়েকজন ডিবির লোক। তখন তারা আমাকে তুই মাদক বিক্রি করো তুমি গাড়িতে উঠে। আমি গাড়িতে উঠতে না চাইলে আমাকে জোর করে গাড়িতে উঠায় এস আই আসাদ। এবং বলে তোর কাছে মাদক আছে দিয়ে দে অথবা সোহাগ ও শের আলীকে আমাাদের কাছে ধরিয়ে দে। তখন আমি বলি এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। অতঃপর বলেন তোকে মাদক দিয়ে চালান করে দিবো। এরপর আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে খানপুর হাসপাতালের সামনে ফাকা জায়গায় নিয়ে যায়। পরে আমার বন্ধু সুমন ও ডাইং সবুজ এরা দুজন এসআই আসাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা খানপুর হাসপাতালের সামনের ফাকা জায়গায় আসতে বলে। তখন তারা ২০ হাজার টাকা দিলে এসআই নিতে চায় এবং আমার সাথে খারাপ আচারন করেন। পরে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাকে ছেড়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র এস আই আছাদুজ্জামান খান শেখের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক ও ডিবির ওসির কাছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে ডিবির ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, অপরাধী যেই হোক তার ছাড়া নেই। অভিযোগের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।