বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ঈদের আগে জুন মাসের পূর্ণ বেতন ও পূর্ণ বোনাসের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আজ বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রমিক সমাবেশ ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান, আবুল বাশার, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, মোঃ শাহীন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক অঞ্জন দাস ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার হামিদ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছর ঈদ আসলে গার্মেন্টসগুলোতে বেতন-বোনাস নিয়ে মালিকদের টালবাহানার কারণে শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ তৈরী হয়। দেখা যায় ঈদের একদিন আগে বেতন-বোনাস দেয়া হয়। কোথাও হাফ বোনাস দেয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাম মাত্র বকশীষ দেয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে তাও দেয়া হয় না। ফলে চরম অসন্তোষ তেরী হয়। প্রশাসন এখানে নির্বিকার থাকে। সরকারী প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ বোনাস দেয়া হয়। কিন্তু গার্মেন্টসগুলোতে তা দেয়া হয় না। নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের পূর্ণ বোনাস দাবী করেন। ঈদ যেহেতু মাসের শেষে তাই জুন মাসের বেতন শ্রমিকদের প্রাপ্য। শেষ মূহুর্তে বেতন-বোনাস দিলে শ্রমিকদের পরিবার পরিজনের জন্য কেনাকাটার সুযোগ থাকে না। তারা দেশের বাড়িতে যাওয়ার জন্যই ব্যস্ত হয়ে যেতে হয়। অন্য কিছুর আর অবকাশ থাকে না। ২০ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি থাকলেও মালিকরা তাতে কর্ণপাত করেনি। এতে শেষ মুহূর্তে বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশংকা তৈরী হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জুন মাসের পূর্ণ বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধের দাবী করেন। শ্রমিকদের দাবী অবহেলা করে মালিকরা যদি শ্রমিকদের বঞ্চিত করার জন্য কোন চালাকীর আশ্রয় নেয়, এতে যে কোন অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতির জন্য মালিক এবং প্রশাসন দায়ী হবেন বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ার করে দেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সময়কালে সব ধরণের চালের দাম গড়ে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাল, চিনি, লবনসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকার দাম নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকার গ্যাসের মূল্য দুই দফায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে বাড়িভাড়া, গাড়িভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিত্য পণ্যের দাম কমানো ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। এরই সাথে মজুরী বোর্ড গঠন করে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধিরও দাবি করেন।