বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
চট্টগ্রামে আলোচিত উদ্ধারকৃত ১০ট্রাক অস্ত্রের সাথে রুপগঞ্জের উদ্ধার কৃত আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে সামঞ্জস্য থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঘটনার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম।
শনিবার বিকেল চারটায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিপুল পরিমান অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটকৃতরা অস্ত্রের মূল চালানের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এখান থেকে অস্ত্র বহন করে বাড়িতে নিয়ে রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের চালানের সাথে জড়িত মূল অপরাধীদেরকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। আটককৃতরা হচ্ছে শরীফ, শাহীন, শান্ত ও রাসেল।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি শফিকুল ইসলাম আরো জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, হদয় নামের এক যুবক (২০) ওই লেকে মাছ ধরতে গিয়ে পায়ে ব্যাগের অস্তিত্ব পেয়ে সেখানে বেশ কয়েকটি এসএমজির সন্ধান পায়। এখবর সে শরীফকে জানায়। পরে শরীফসহ চারজন মিলে অস্ত্রগুলো ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখে দেয়। পরে পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৩টি ও লেক থেকে আরো ৫৯টি এসএমজিসহ অন্যান্য গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এখনো আরো ৫/৬টি অস্ত্র তাদের মাধ্যমে বাইরে কোথাও রয়ে গেছে। ঘটনাটি তারা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত না করে নিজেদের কাছে অস্ত্র লুকিয়ে রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তবে ঘটনার পর হৃদয় দেশের বাইরে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, অস্ত্রগুলো জঙ্গিদের ব্যবহৃত অস্ত্রের সাথে কোন মিল নেই। এগুলো কোন দেশের তৈরী বা কোথ থেকে এসেছে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ বা চীনের তৈরী অস্ত্রের সাথে মিল পাওয়া যায়নি। তবে চট্টগ্রামে উদ্ধারকৃত ১০ট্রাক অস্ত্রের সাথে এর সামঞ্জস্য থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত ডিআইজি মাহাবুবুর রহমান, তৌফিকুর মাহাবুব চৌধুরী, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক। তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজ শফিকুল উসলাম জানান, ঘটনার ১০ কার্য্য দিবসের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।