বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দর শাহীমসজিদ’স্থ পল্লিবিদ্যুৎ জোনাল অফিস এখন ঘোষ ছাড়া কাজই হয়না। গত বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রই পরিলক্ষিত হলো। সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পরিমল ও লাইনম্যান সোহেল,অমর,বসির,রুহুল গ্রাহকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে মিটার বাবদ ৫হাজার টাকা করে নিয়ে ২দিনের মধ্যে মিটার সংযোগ চুক্তিবদ্ধ করে বেরাচ্ছে। এদিকে সাধারন গ্রাহকরা মিটারের আবেদনের সময়সিমা ৬মাস পেরিয়ে গেলেও তারা সঠিক সময়ে তো মিটার সংযোগ পাচ্ছেইনা বরং তাদের বুঝানো হচ্ছে মিটার সংকট ও তার ঘাটতি বিভিন্ন সমস্যা। যদিও অফিস থেকে বলা হচ্ছে স্বল্পমূল্যে বিদ্যৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদেও খপ্পরে পড়ে তিনগুন অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারন গ্রাহকদের। বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে এখন পল্লি বিদ্যুতের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পরিমলের পছন্দের গ্রাহকদেরই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই গ্রাহকগুলো সংযোগ পেতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে। দূর্নীতিবাজ এই ঘোষখোর কর্মকর্তা পরিমল ও তার লাইনম্যানদের মিটার সংযোগ বানিজ্যে যেন অসহায় হয়ে পড়ছে সাধারন গ্রাহকরা। গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং,পোষ্টার লিফলেট,পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের প্রচারনা করা হলেও কাজের কাজ হচ্ছেনা কিছুই। বর্তমান সরকারের উন্নয়ণ যেন বন্দর পল্লিবিদ্যুতের অসাধু কর্মকর্তা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পরিমল ও কতিপয় লাইনম্যানদের জন্য অধরাই রয়ে যাচ্ছে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে যে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের প্রকল্প হাতে নিয়েছে তা বিনষ্ট হচ্ছে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার জন্য। পল্লিবিদ্যুতের রেজিষ্টার চেক করেও অতিরিক্ত অর্থ দেয়া গ্রাহকদের নামের পাশে কথিত অসাধু লাইনম্যানদের নাম পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর পল্লিবিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম আশরাফুল আলম খানের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান,যদি কোন দূর্নীতিবাজ অফিসার থেকে থাকে প্রমানিত হলে সাথে সাথে ক্লোজ করা হবে। আমি কোন অসাধু কর্মকর্তার সাপোর্ট কখনোই করবোনা। সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করছি যাতে গ্রাহকদের ১০০% বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দিতে পারি। এ ক্ষেত্রে কোন অসাধু কিট যদি আমার আশপাশে থাকে তাহলে জেরে ফেলে দিতে বিন্দুমাত্র কার্পন্যতা করবোনা ইনশাআল্লাহ।