বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন হতে রাস্তায় গাড়ি পাকিং পূর্বক টোল আদায়ের ইজারা এনে চলন্ত গাড়ী থামিয়ে ১৫ টাকা করে টোল আদায় করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলন্ত গাড়ি থামিয়ে টোল আদায়ের নামে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ বেবী, সিএনজি, মালিক ও চালক সমিতির। গতকাল শনিবার দুপুরে বন্দর ইউনিয়নন ভূমি অফিসের সামনে সিটির রাস্তার উপর প্যান্ডেল পূর্বক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে টোল আদায়ের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মিজানুর রহমান, অজয় পালসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জানা গেছে, বন্দর ১ নং খেয়াঘাট হতে রোডের পশ্চিম অংশে গাড়ি পাকিং বাবদ ১৫ টাকা টোল আদায়ের জন্য সিটি করপোরেশন থেকে স্বারক নং এনসিসি/ বাজার/ ইজারা/ ৪৭/১২-১৭/২৯৫ মূলে ইজারা দেয়া হয়।। এ স্থানে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে দু-গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন খেয়াঘাট সংলগ্ন হতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হয়ে বন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ী পাকিংয়ের জন্য সিটির রশিদের মাধ্যমে ১৫ টাকা করে টোল আদায়ের ইজারা আনে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান রিপন। গাড়ী পার্কিং করলে টোল আদায় ইজারার কাগজে স্পটভাবে উল্লেখ্য থাকলেও চলন্ত বেবী, সিএনজি ও ইজিবাইক হতে ১৫ টাকা করে টোল আদায়ের চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে সর্বত্র চলছে নানা সমালোচনা। নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য বিএনপি- জামায়াতের পেতআত্বারা সু-কৌশলে কাজ করছে। বন্দর শহর এলাকায় রমজানের আগের দিনই থেকেই জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ হলে দায়বার সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে নিতে হবে বলে বন্দর ১ নং খেয়াঘাটস্থ শ্রমিক কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহালম মিয়া জানান। সিএনজি( ফর-স্টোক) মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ আল মুজাহিদ দুলাল বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত চলছে। মেয়র আইভীর বদনাম করার জন্য ও শান্ত বন্দরকে অশান্ত করার জন্য মিজানুর রহমান রিপন, সানোয়ার, তপন, সোহাগ, হিমেল, বাহাউদ্দিন খান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকির, ২২ নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি সোহাগসহ একটি চক্র ইজারার নামে চলন্ত গাড়ি থেকে চাধঁবাজি করে শান্ত বন্দরকে অশান্ত করে তুলছে । বন্দর শিশু নিকেতন স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় প্যান্ডেল লাগিয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে চলন্ত গাড়ী থামিয়ে সিটির রিসিট দিয়ে ১৫ টাকা করে টোল আদায় শুরু করে। এর প্রতিবাদে বেবী, সিএনজি, ও ইজিবাইক চালক এবং মালিকরা নিজ উদ্যোগে গাড়ি বন্ধ করে দেয়। দুপুর থেকে বন্দর খেয়াঘাটে সকল যান চলাচল বন্ধ। এতে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করছে। বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মিজানুর রহমান জানান, সকাল হতেই আমরা উপস্থিত। কোন প্রকার অরজকতা যাতে না লাগে সেজন্য আমরা কঠোর অবস্থায় আছি।
এ বিষয়ে ২২ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ জানান, সিডিউলের কাগজ আমার কাছে আছে। গাড়ী পার্কিং করলে টোল আদায় করতে পারবে কিন্তু কোন চলন্ত গাড়ি থামিয়ে টোল আদায় করতে পারবে না। তাহলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। রমজানের আগে এরূপ বিশৃঙ্খলা হলে আমাদের মেয়র মহোদয়ের বদনাম হবে। বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে জানান।