বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে ইতালী প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুক্তি আক্তার প্রেমিক পিয়াস কবির মৃধার হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার গোয়াল বাথান গ্রামের চাঁন মিয়া হাওলাদার ও রাশিদা বেগমের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর পূর্ব পাড়া ৯৩ নং উইলসন রোডের গোলাম হোসেন ও আফসানা বেগমের মেয়ে সুক্তি আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে গত ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর মাসে বিবাহ হয়। পরে বিবাহের দুই মাস পর রফিকুল ইসলাম ইতালী চলে যায়। সুক্তি আক্তার প্রায়ই রফিকুল ইসলামের পরিবারের লোকজনের সাথে খারাপ আচারণ করে। এদিকে সুক্তির মা মেয়ের পরীক্ষার কথা বলে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে থাকা অবস্থায় উশৃৃঙ্খলভাবে জীবন যাপন শুরু করে সুক্তি। তার বাবা মা এ বিষয়ে কোন শাসন করে না। বিবাহিত জীবন থাকালীন সুক্তি বন্দর পূর্বপাড়া একই এলাকার হুমায়ন কবির মৃধার ছেলে পিয়াস কবির মৃধার সাথে পরকিয়ায় জরিয়ে পরে। তারপর গত মাসে পিয়াসের হাত ধরে সুক্তি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে রফিকুল ইসলামে ছোট ভাই শরীপুর জেলার নড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার জি ডি নং -১১৭৩।
এ ব্যাপারে প্রবাসী রফিকুল ইসলাম জানান, আমার সাথে সুক্তির পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। সুুক্তিকে পিয়াসের সাথে পালাতে তার খালাত বোন সনিয়া, মামা রবিউল ইসলাম ও তার বান্ধবী শুপ্তি সাহায্য করে। টাকা পয়সার লোভে মেয়ে কে ও কোন সাসন করেনি। শশুড় বাড়ি যাওয়ার পরে সুক্তি আকতার তার শাশুড়ি, বাসুর, দেবরদের সাথে ভালো ভাবে কথা বলে না এবং নানা ধরনের জামেলা গন্ডগল পরিবার সৃষ্টি করে। তারপর সুক্তির আমি থাকা অবস্তায় পিয়াস কবির মৃধা নামের এক ছেলের সাথে মোবাইল এ কথা বলে আমি এটা দেখে জিজ্ঞেস করার পরে ওর বন্দবীর নাম বলে যে আমি শুপ্তির (সুক্তির বান্ধবী) সাথে কথা বলি তখন শুপ্তি ও আমাকে বলে যে হ্যা সুক্তি আমার সাথে কথা বলছে। আমি বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেইনি। পরে আমি ইতালিতে চলে আসি। এমন সময় সুক্তি আমার বাসায় থাকে এবং নানা ধরনের বেজাল লাগাতে থাকে। আমি ফোন দিলে কথা বলতো না খারাপ আচরন করতো এভাবেই চলতে থাকে। আমি একটু বুঝতে পারার পর সুক্তির মোবাইল চালানো কিছু দিনের জন্য বন্দ করে দেয়। এমন সময় মেয়ের বন্ধবী, খালা, মামা নানা ভাবে সুক্তির কাছে পিয়াস নামের সেই ছেলেটির খবরা খবর পৌছায় দেয়। বিষয়টি মেয়ের মাও জানতো কিন্তু তার মেয়েকে এ ব্যাপারে কিছু ই বলতো না। তার কিছু দিন পরে মেয়ের মা মেয়েকে আমি এর বাড়ির কাওকে কিছু না বলে সুক্তির মায়ের বাড়িতে নিয়ে চলে আসে আমি এটা জানতে পেরে মেয়ের মা কে জিজ্ঞেস করলে মেয়ের মা বলে সুক্তিকে টেষ্ট পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছি। সুক্তি আসার সময় আমার বাসা থেকে ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং ৭-৮ বরি সর্নালংকার জিনিস নিয়ে আসে। তার পরে আমার সাথে সুক্তি যোগাযোগ করতে চায় না তার ২-৪ দিন পরে কলেজ এর ব্যাচ পড়ার নাম বলে সেই পিয়াস নামের ছেলে টার সাথে দেখা করে এবং মেয়ের বান্ধবী শুপ্তি তার কোন এক আত্বীয়ের বাড়িতে পিয়াস এবং সুক্তি( রফিক এর স্ত্রীর) একক ভাবে কোন কক্ষে সময় কাটানোর ব্যাবস্থা করে দেয়। এ ব্যাপার টা সুক্তির মা রফিক এর শাশুড়ি জানতে পারে তারপরে ও রফিক এর কাছে বলেনি ও মেয়েকে ও কিছু বলেনি। কারন মেয়ের মা এর উদ্দেস্য ছিল পিয়াস নামের ছেলের থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে আনার আর আমার কাছ থেকে তো এমনেতেই পাচ্ছে।