বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লা পঞ্চবটি হতে পাগলার মুন্সী খোলা পর্যন্ত নিত্যদিনেই স্কুল মাদ্রসা কলেজের ছাত্রছাত্রী ও গামেন্টর্স শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষের চলাচলে যানজটের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।এ যেন দেখার কেউ নেই। এখানকার জনপ্রতিনিধি ও জেলার ট্রাফিক সংস্থাসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কোন নজরদারী নেই।সড়ক পথের যানবাহনের যাত্রী সাধারনের ভোগান্তির কোন শেষ নেই দাবী সচেতন মহলের।আর এই যানজটের সূত্রপাত ফতুল্লার পাগলা, মুন্সীখোলা ও যমুনা -মেঘনা ডিপোর সামনে যত্রতত্রয় রাস্তার উপর ট্যাংক লড়ি ও ট্রাক রাখায়।যে সরকারই আসে ট্রাক স্ট্যান্ড দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও পর্যন্ত কেহই বাস্তবায়নের মুখ দেখাতে পারেনি বলে জানান স্থানীয় শ্রমিক নেতারা ও মালিক সমিতি।ফলে দূরহচ্ছে না রাস্তার যানজট।ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় যানবহনে বসে থাকতে হচ্ছে যাত্রী সাধারনের।
এলাকা সূত্রেজানাযায়, ফতুল্লার লোহার মার্কেট, পঞ্চবটি চৌরাস্তার মোড়ে ,ফাজেলপুর যমুনা -মেঘনা ডিপোর সামনে ,দাপাইদ্রাকপুর বালুঘাট , আলীগঞ্জ পাগলা মুন্সীখোলার সামনে ট্রাক সড়কের উপর রেখে মালামাল লোড আনলোড করে যাচ্ছে।এমন কি খালী ট্রাকগুলোও ঢাকা -নারায়ণগঞ্জ ডি এন ডি সড়কের দু পাশে আপন মনে করে রাখছেন ট্রাকের মালিক ও চালকেরা। এ যেন মামা বাড়ির আবদার মনে করছে স্বাধীন বাংলাদেশের ট্রাক মালিকরা। যে যার মত করে রাস্তা দখল করে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি করছে।ফতুল্লার থানা থেকে মাত্র ২শ গজ দূরে ফতূল্লা মেঘনা ও যমুনার তেলের ডিপো ।এই ডিপোর পাশেই এ বি ব্রিজ স্কেল রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত শতশত গাড়ি লোড করে স্কেলে করছে।এই স্কেলের মালিক মো. দিদার সরকার ৫/৬জন লোক রেখে গাড়ি পাকিংয়ের সময় যানজট সৃষ্টি হয় । ফতুল্লার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তার সাথে কেহ প্রতিবাদ করে না। তাদের দাপটে প্রশাসনও কাবু ্এমনটাই মনে করছে ভূক্তভোগী জনসাধারন। তা না হলে এ বি স্কেল কিভাবে সে যানজট সৃষ্টি করে স্কেলিং করছে এমন প্রশ্ন জাগে সকল যাত্রী সাধারনের।ফতুল্লার পুলিশ লাইন লোহার মার্কেটের সামনেও ট্রাক রেখে লোড আন লোড করছে লোহা ব্যবসায়ীরা। ফলে রাস্তায় যানজট হচ্ছে প্রতিদিনই। পঞ্চবটি মোড় ইজি বাইক (অটো রিক্সা)গুলো এলোমেলোভাবে ট্রাফিক নিয়ম বহিভূত আইনে যাত্রী নামানো উঠানোর কাজ করছে অটো চালকরা। পাশে ট্রাফিক পুলিশ থাকার পরেও তারা সঠিকভাবে দায়িত্বে পালন করছেননা । এখানে মুন্সীগঞ্জ,টুঙ্গিবাড়ি ,বালিরগাও, দীর্ঘিপাড়ের যাত্রীবাহী বাস আসে ।বিসিক ২নং গেইট থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত প্রায়ই যানজট লেগে থাকে।শুধু মাত্র ট্রাক ও অটো রিক্সার চালকরা ট্রাফিক আইন মেনে না চলায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পরে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বিসিক যাচ্ছে । যানজটের শিকার হন প্রতিদিনেই। মালিক সমিতি ও চালকের কাছে মানুষ জিম্মি হয়ে পরেছে। বেশি কিছু বললে বা প্রতিবাদ করলে শ্রমিক নেতাদের কাছে গিয়ে লোকজন নিয়ে আবার মাঠে নামে । মাঝেমাঝে ধর্মঘট ডাক দেয়। এযেন দেশের আইন আজ ঘুমিয়ে পরেছে। ফতুল্লা মডেল থানার সামনেই সড়কের দু’পাশে ট্রাক রেখে মালামাল নামায় এবং ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট বসে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করছে। পথচারীরা ফুটপাতে পায়ে হেঁেট যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।ফতুল্লা বাজারের সামনেও ভ্যান রিক্সা ও অবৈধভাবে সড়ক দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছে অসাধু ব্যক্তিরা।দাপাইদ্রাকপুর বালুঘাট এলাকায় রাস্তার দু’পাশে ট্রাক রেখেছে চালকরা। ফতুল্লার ব্যস্তময় পাগলা বাজার তালতলা ,মুন্সীখোলা এলাকার ডি এনডি সড়কের দু’পাশের অবৈধভাবে দখল করে প্রতিদিনেই ট্রাক রেখে মালামাল লোড আন লোড করছেন। আবার খালী ট্রাকগুলো রাস্তার দু’পাশে রাখেন চালক ও মালিকরা।এ যেন দেশের আইন ঘুমিয়ে আছে। মুন্সীখোলার রাস্তার পাশে রডের স্তুপ রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।পাশেই দু’টি স্কেল রয়েছে । সেখানে প্রতিদিনেই ট্রাক পাকিং করে স্কেল করে যাচ্ছে।ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।দেশের বৃহত্তর রড সিমেন্টস এর ব্যবসায়ী কেন্দ্র এই মুন্সীখোলা, তালতলা। এখান থেকে দেশের উত্তর বঙ্গে ও দক্ষিন বঙ্গে ইট ,সিমেন্ট ও রড সরবারাহ করা হয়। সুতরাং এজন্য ট্রাকের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। নারায়নগঞ্জবাসীর যানজট দূরীকরন লক্ষ্যে একটি বড় ট্রাক স্ট্যান্ড প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ী মহল।তাহলে সড়কের দু’পাশ যানজট মুক্ত হবে।এছাড়া আনন্দ ও বোরাক যাত্রী পরিবহনের অদক্ষ চালক ও হেল্পারের জন্যেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফতুল্লাবাসীর দাবী ফতুল্লার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডিএনডি সড়কের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে চালক ও হেলপার, মালিক সমিতি এবং শ্রমিক নেতাদের সচেতন ও ঐক্য হতে হবে। প্রশাসনের ও ট্রাফিক পুলিশ সজাগ থাকতে হবে এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল।এ ব্যাপারে শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব কাউসার আহম্মেদ পলাশ ফতুল্লা রির্পোটার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের বলেন , আমরাও চাইনা রাস্তার দু’ পাশ দখল করে ট্রাক রাখুক। কিন্তু আমাদের ট্রাক স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে চালকরা রাস্তায় ট্রাক রাখছে। আমরা সরকারের মন্ত্রনালয়ে ট্র্কা স্ট্যান্ডের ব্যাপারে বেশ কয়েক বার আবেদন করলেও তার সুফল আমরা পাইনি।আমাদের জন্য ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে দেয়নি। অনেক মন্ত্রী এমপি মুখে সব দিয়ে দেয় কিন্তু বাস্তবে পাইনি।তবুও আশা ছাড়িনি কারন ,আমাদের প্রধান মন্ত্রী শ্রমিক বান্ধব গরীবের বন্ধু তিনি একদিন আমাদের জন্য ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে দিবেন এ প্রত্যাশা করি।
ফতুল্লার শ্রমিক ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও নানা পেশার মানুষের সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী যানজট মুক্ত করতে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড দেয়া হোক পাগলা মুন্সীখোলা এলাকায়।পবিত্র মাহে রমজানের আগে আমাদের যানজট ম্ক্তু করার লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারী দলের রাজনীতিবিদ এবং স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন ফতুল্লাবাসী।