বিজয় বার্তা২৪ ডটকমঃ
সম্প্রতি কয়েক দফা বৃষ্টিপাতের পর এডিস মশার মাধ্যমে ছড়াচ্ছে চিকনগুনিয়া। বিশেষ কোন প্রতিষেধক না থাকায় আক্রান্তদের প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ও বেশি বেশি পানি খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। সমস্যা সমাধানে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
শরীরে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর। সারা গায়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে কাহিল সিকিউরিটি গার্ড আজাহার। চিকনগুনিয়া ভাইরাস জ্বর একে একে আক্রান্ত করেছে একই ঘরের ৫ জনকে। জ্বর, মাথাব্যথা, চোখ জ্বলা, বমির ভাবসহ নানা উপসর্গ দিয়ে শুরু হওয়া এ ভাইরাস ব্যাপকভাবে দুর্বল করছে দেশের অসংখ্য মানুষকে।
আজাহার বলেন, ‘বমি আসে কোনো কিছু খেতে পারি না। শরীর দুর্বল লাগে।’
চিকিৎসকরা বলছেন, চিকনগুনিয়া জ্বর ৫/৬ দিনের মধ্যে ভাল হলেও শরীরে গিরায় গিরায় ব্যথা ১ মাসেরও বেশি সময় পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে ৩ দিনের জ্বর ও ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে কোন ভাবেই এন্টিবায়োটিক সেবন না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন বলেন, ‘প্যারাসিট্যামল ছাড়া আর কোনো জ্বর কমানোর ওষুধ সেবন করা যাবে না। চিকুনগুনিয়া রোগে প্যারাসিট্যাসল ছাড়া অন্যসব ওষুধ সেবনে রক্তক্ষরণ হতে পারে।’
দেশে প্রথমবারের মত চিকনগুনিয়া আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ আসছে হাসপাতালে। ডেঙ্গু জ্বরের মতই এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ানো ভাইরাসে মৃত্যু ঝুঁকি না থাকায় কেবল প্রেসক্রিপশন দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে সমস্যা সমাধানে দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডিজি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা সারা দেশের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছি চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে।’
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে দিয়ে কমতে পারে চিকনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব। তবে এ রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ঘরের টবের পানিসহ বাড়ির আশেপাশে ছোট জলাধার প্রতিদিন পরিষ্কার রাখার পরামর্শ চিকিৎসকদের।