নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটিসহ চারজনকে জেরা ও নতুন আরো ছয়জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ডাকা হয়েছে আদালতে। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৫ শে এপ্রিল ধার্য্য করেছেন আদালত।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন এস আই আবু হানিফ, এ্যাডভোকেট প্রীতম কুমার দে, কনস্টেবল কুদ্দুস, এস আই আবু তাহের। একই সাথে তাদের জেলা করেন আসামী পক্ষের আইনজীবিরা। এছাড়া স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে অবস্থান করছেন নিহত নজরুলের ছোট ভাই আব্দুস সালাম, ও শ্যালক সাইদুল ইসলাম।
আজ জেরার তালিকায় রয়েছেন মামলার বাদি নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, মো: মিজানুর রহমান রিপন, ইউসুফ ও এস আই মিজানুর রহমান। স্বাক্ষীর তালিকায় রয়েছেন এস আই আবু হানিফ, নিহত আইনজীবি চন্দন সরকারের সহকর্মী এডভোকেট প্রীতম কুমার, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস, আবু তাহের, নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই আবদুস সালাম ও শ্যালক সাইদুল ইসলাম। পর্যায়ক্রমে তাদের জেরা ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আসামী নুর হোসেন , ব্যাব কর্মকর্তা তারেকত স্ঈাদ মোহাম্মদ, এম এম রানা, মেজর আরিফসহ ২৩ আসামীকে আদালতে আনা হয় ।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম সিনিয়র আইনজীবি চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাত খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ এক বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ মন্ডল ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল। করেন। এই মামলায় ৩৫ জন আসামীর মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। ১২ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।