নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ এনে মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়ে ২ নারীসহ ৪ জনকে আহত করেছে। আহতরা হলো- শিমরাইল টেকপাড়া এলাকার আশ্রাাফ মিয়ার স্ত্রী লিলি বেগম, তার দুই ছেলে নাইম, ইমন ও জুলহাস মিয়ার স্ত্রী হনুফা বেগম। আহতদের নারায়গঞ্জ ৩ শয্যা হাপাতালের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে জেলা দোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) টেকপাড়া এলাকায় অভিযানে চালিয়ে শামীমকে ১৪৪ক্যান বিয়ারসহ আটক করায় শুক্রবার মাদক ব্যবসায়ী বিল্ল-াল বাহিনী এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় আশ্রাফ মিয়ার মেয়ে নাছরিন বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। হামলার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে জেলা দোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে শিমরাইল টেকপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসী আব্দুল রহমানের ছেলে সন্ত্রাসী বিল্লালের সহযোগী শামীমকে ১৪৪ ক্যান বিয়ার সহ আটক করে। এসময় বিল্ল¬াল, তার ভাই ইয়াছিনসহ তার সহযোগী রহমান পুলিশের অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে শামীমকে আশ্রাফ মিয়ার বাড়ির লোক জন ধরিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ এনে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিল্ল¬াল তার ভাই ইয়াছিন ও হযরতের ছেলে রহমানসহ আরো ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আশ্রাফ মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে বাধা দিলে মাদক ব্যবসায়ীর লিলি বেগম, তার দুই ছেলে নাইম, ইমন ও আনুসা বেগমকে রড, লাঠিসোটা ও ইট দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাত্ত জখম করে। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলের এসে আহতদের চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
এলাকাবাসী আরো জানায়, বিল্ল¬াল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক বিক্রয় কয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। সে টেকপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা করে শত শত যুবককে মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী বানাচ্ছে। তার রয়েছে একটি শক্তিশালী মাদক বিক্রয়ের সিন্ডিকেট। তারা শিমরাইল ট্রাকষ্ট্যান্ড, টেকপাড়াসহ সাত খুনের প্রধান আসামী নুর হোসেনর অফিসের পিছনে মাদকের আস্তানা গড়ে তুরেছে। বিল্লালকে গ্রেফতার করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিলে এ এলাকার মাদক ব্যবসা চিরতরে বন্ধ হবে বলে তারা জানায়।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই জহিরুল ইসলাম বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।