না্রায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় আসামীদের উপস্থিতিতে সাক্ষীর জেরা সম্পন্ন হয়েছে। পৃথক দুটি মামলার জবানবন্দি রেকর্ডকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনসহ ৭ জনকে জেরা করেছে আসামীপক্ষের আইনজীবিরা। এর আগে পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ সোমববার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেন, র্যাবের চাকুরিচ্যুত তিন কর্মকতা লেফটেনেন্ট কর্ণেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেনেন্ট কমান্ডার এম এম রানাসহ ২৩ আসামীকে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। জেরা শেষে আদালত আগামী ১৮ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য্য করে ।
নূর হোসেন, তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফের পক্ষে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন থাকায় তাদের পক্ষের আইনজীবিরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন ,এস আই বেলায়েত হোসেন, কনস্টেবল রমজান মৃধা,আবুল কালাম আজাদ,জাহাঙ্গির আলম ও মোহাম্মদ হোসেনকে জেরার জন্য সময় প্রাথর্না করে । পরে উচ্চ আদালত সেই রিট আবেদন খারিজ করে দেয়। ইতিপূর্বে আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদানের পর ৩৫ আসামীর মধ্যে আসামী নূর হোসেন, তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফের পক্ষের আইনজীবিরা ছাড়া ৩২ আসামী পক্ষের আইনজীবিরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনসহ ৭জনকে জেরা করেছিলেন । এ পযর্ন্ত মোট ১৫জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে ।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম সহ ৭ জনকে অপহরণের তিন দিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়। খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একটি মোট ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ এক বছর তদন্তের পর তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল মামলার নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এবছরের ৮ ফেব্রুয়ারী আলোচিত ৭ খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে আসামী করে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ৩৫ জন আসামীর মধ্যে ১২জন আসামী পলাতক রয়েছে ।