বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নিখোঁজের ১০ দিনেও সন্ধান মিলেনি স্কুল ছাত্র জোবায়ের আহমেদ অপূর্ব এর। সে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতনের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। গত ৮ই ফেব্ররুয়ারী বুধবারের সকাল সাড়ে ৯ টায় বাসা থেকে বের হয়ে অদ্য পর্যন্ত বাসায় ফেরেনি। এ ঘটনায় অপূর্বের মা আয়েশা আক্তার আশা ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন মামলা নেয়নি। এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় মা আয়েশা। ছেলের ছবি হাতে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ও প্রশাসনের দাড়ে দাড়ে ঘুরছে ছেলের সন্ধানে। নিখোঁজ অপূর্ব তল্লা পশ্চিম পাড়া এলাকার প্রবাসী নুর হোসেনের ছেলে। তবে পুলিশ বলছে নিখোঁজ অপূর্বকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিখোঁজ অপূর্বের মা আয়েশার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারী সকালে বাসা নিখোঁজ অপূর্বসহ তার পরিচিত কয়েকজন অপূর্বের বাসার আলমারি ভেঙ্গে সেখানে রাখা ১ লাখ ৫ হাজার ১শত টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। অপূর্বসহ অন্যেরা হলো- শান্তু, জয়, সানি, তানভির, শামিম, সুমন, নুর ইসলাম। ওই সময় আয়েশা বেগম তার মায়ের বাসায় ছিলেন। পরে তিনি বাসায় এসে এসব দেখে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনাটি জানতে পারেন। সারাদিন ছেলের জন্য অপেক্ষা করে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে অভিযুক্ত শান্তর মোবাইলে ফোন দিলে সে অপূর্বের কোন সন্ধান জানেনা বলে জানায়। তবে ওই সময়ে অপূর্ব মা বলে চিকৎকার দিলে শান্তু মোবাইল বন্ধ করে দেয়। তিনি ধারনা করছেন অভিযুক্তরা অপূর্বকে টাকার জন্য কোথাও আটকে রেখে ক্ষতি করছে।
অবিযোগ পত্রে উল্লেখিত মোবাইলে যোগাযোগ করলে অপূর্বের মা আয়েশা বলেন, ভাই আমার ছেলের কোনো খোঁজ পাইছেন। তারা আমার ছেলেরে আটকিয়ে রেখেছে। আমার ছেলে বেঁচে আছে কিনা আমি জানিনা। ছেলে সন্ধানে র্যাব ও পুলিশসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে গিয়েছি এখনো কেউ কোন সন্ধান দিতে পারে নাই। পুলিশ দেখছি দেখছি বলে ঘুরায়। থানায় গেলে ধমক দেয়। আমার ছেলের একটা খোঁজ দেন। আমি তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো।
এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকতা ফতুল্লা মডেল থানার এস আই তুষার কান্তি দাস মামলা রুজু না হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অপূর্বকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে । ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। আশা করছি দ্রুত অপূর্বের সন্ধান পাওয়া যাবে। দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন শেষ করে অভিযোগটি মামলায় রুজু করা হবে।