বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জর বন্দরে ডাকাতি করে পালানোর সময় ধৃত ডাকাতকে ২ দিনের করে রিমান্ডে এনেেেছ পুলিশ। সোমবার দুপুরে ১০দিনের রিমান্ চাইলে আদালত ৩ডাকাতের ২ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত ডাকাতরা হচ্ছে সুদূর বরিশাল জেলার বানারীপাড়া থানাধীন বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা তথা ফরাজীকান্দা এলাকার মুজাহিদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া নূর ইসলামের ছেলে আল আমিন(২৩),সোনাকান্দাস্থ বেপারীপাড়া এলাকার আবদুস সোবহান মিয়ার ছেলে সোহাগ)২৪)ও একই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে হাসান(২২) । এদিকে অপরাপর ধৃত মাহমুদনগর এলাকার সিজল হকের ছেলে রতন(২৪)কে ১০দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সূত্র মতে, সোনারগাঁয়ের কুখ্যাত ডাকাত সর্দার বাদশার নেতৃত্বের ৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল বুধবার দিবাগত রাত ৪টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন মুখফুলদী এলাকার মৃত সোনা মিয়া মোল্লার ছেলে হোসিয়ারী ব্যবসায়ী কুতুবউদ্দিন মোল্লা ও মহসিন মোল্লার বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতরা প্রথমে কুতুবউদ্দিনের বাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ধারালো অস্রের মুখে জিম্মি করে সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১০ হাজার টাকা লুটে নেয়। পরে মহসিন মোল্লার ঘরে প্রবেশ করলে ঘরের লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে ডাকাতরা ক্ষিপ্ত হয়ে মহসিন মোল্লার মাথায় উপর্যপুরি কোপায়। মহসিন ও তার পরিবারেরর সদস্যদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন মসজিদের মাইকে আহবান করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ডাকাতদেরকে ধাওয়া করে। ডাকাতরা প্রাণ রক্ষার্থে বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে আতংকের সৃষ্টি করে। উত্তেজিত জনতা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাকাতদেরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ে ডাকাতদের মধ্যে বাদশাকে আশংকাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় এলাকাবাসী ডাকাতদের ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।