বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
কিশোর বখাটেদের কাছে সিগারেট বিক্রি না করায় প্রভাবশালী সালাম চেয়ারম্যানের ভাগিনাদের হাতে নির্মমভাবে আহত হওয়া বৃদ্ধ হাজী মনির অবশেষে মারা গেছেন। ২দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার পর রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। হাজী মনিরের মৃত্যুর পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে নিহতদের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের নির্দেশে বন্দর থানায় মামলা হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ প্রশমিত হতে চলেছে। সূত্র ,মতে,গত শুক্রবার জুমা নামাজের পর বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় সিগারেট বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সুজামিয়ার ছেলে মোস্তফা,ও সফিক,মাহমুদ আলী,আরমান,মাসুম,সৈকতসহ ১০/১২জনের হামলায় মারাত্মক ভাবে আহত হন মকবুল হোসেন,শফিক,হাজী মনির,জাহাঙ্গীর হোসেন,সাইদুর রহমান,রেণু বেগম ফজলুল হক,ইসমাইল সহ আরো অনেকে। আহত ৪জনের মধ্যে হাজী মনিরকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে হাজী মনিরকে যারা নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে তারা মদনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ সালামের আপন ভাগিনা হওয়ায় তাদের বিরোদ্ধে কেউ প্রতিবাদের সাহস পায়না। এমনকি চেয়ারম্যান এমএ সালাম নিজের ভাগিনাদের বিচার না করে উল্টো আহত শফিক ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। চেয়ারম্যানের হুমকির পরও প্রাণের মায়া ত্যাগ করে আহত শফিক বন্দর থানায় একটি মামলা করেন,কিন্তু মামলা করার পর চেয়ারম্যান সালাম আহত শফিকের পরিবারের উপর আরোও ক্ষেপে গিয়ে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান এমএ সালাম ও তার ভাগিনাদের হাত থেকে প্রাণরক্ষায় আহত শফিক ও হাজী মনিরের পরিবারের নিরাপত্তায় বন্দর থানা পুলিশ,বর্তমান সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নিরীহ শফিক ও মনিরের পরিবারবর্গ।