মাহাবুব আলম শ্রাবন,বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
পূর্ন হলো বেঁচে থাকার চারটি বছর। গত ২৫ শে জানুয়ারি ২০১৩ সালে এক সন্ধায় নৃশংসভাবে হামলা স্বীকার হন আজকের মৃত্যুঞ্জয়ী পদবীতে ভূষিত ছাত্রনেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জীবন। নৃশংসতার এক নির্মম পরিচয় দেয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকা কলেজ এর মূল ফটকে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে বসে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায় তার উপর, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তার স্থান হয় ঢাকা মেডিকেল, পপুলার, ল্যাব এইড, কেয়ার হয়ে আপ্যোলো হাসপাতালের আইসিইউতে। সেদিন তিনি ভাগ্যজোরে বেঁচে গেলেও অসহায় হয়ে বেছে নিতে হয় এক বিভীষিখাময় জীবন। মাথার বাম অংশ ২৩ খন্ড হয়ে যায়, ডান পা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়, ডান পায়ে চিরস্থায়ী ব্যাথা, মাথার বাম অংশ আর্টিফিশিয়াল, কপালটা ফুটো নিয়ে এখনো অটুট মৃত্যুকে জয় করা মৃত্যুঞ্জয়ী এই ছাত্রনেতা। মৃত্যুভয় থামাতে পারেনি কম্পন, সময় থামতে পারেনি হৃদস্পন্দন, জয় বাংলা স্লোগানে আজও কেঁপে ওঠে সেই বজ্রকন্ঠ, তবুও থেমে নেই পথ চলা, মৃত্যুর যন্ত্রনাও একচুল বিচলিত করেনি সেই সাহসি সৈনিকের দূর্বার পথ চলা। আজ কেটে গেছে ৪ টি বছর, অনেক কষ্টের মাঝে দাঁড়িয়েও দ্বায়ীত্ব থেকে সরে যান নি, কাজ করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুর আর্দশে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হয়ে। কেমন কেটেছে হামলায় পরবর্তী সময় এ সম্পর্কিত প্রশ্নে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এক মূহুর্তের জন্যও মনে হয়নি” আপনাদের মাঝে ফিরবো, তবে ফিরতে পারি আর নাইবা পারি ভাবনাটা ছিল ভিন্ন, “মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়েও হৃদয়ের ক্যানভাসে আকাঁ ছিল একটি ছবি বঙ্গবন্ধু”